লেখকের কথা সমস্ত প্রশংসা সেই সত্ত্বার জন্য যিনি বিশ্বজগতের রব। সালাম বর্ষিত হোক মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা.)—এর উপর, যার প্রতি আমার মহব্বত সবার উর্ধ্বে। বিজ্ঞানের ব্যর্থতা যে আমাদের আনন্দ পরিমাপযোগ্য কোনো যন্ত্র আবিষ্কার করতে পারেনি। যদি এমন যন্ত্র আবিষ্কার হতো, তাহলে আমার আনন্দ হয়ত সেই যন্ত্রের সুউচ্চ পর্যায়কে ছুঁয়ে ফেলত। কেননা আমার লেখা বই বের হবে এটা আমার জন্য একসময় কল্পনাতীত ছিল। কখনো ভাবিনি আমি লিখব! তাও আবার ইসলামের জন্য! আনন্দ ও আশ্চর্যের এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। বইটি লেখা যতই আগে বেড়েছে, সাহায্য সহযোগিতার হারও ততোই বেড়েছে। সামিঈ, তাহসিন, নেবুদা, আগন্তুক, মেহরাব, লেখক এমডি আলী এবং অন্যান্য দ্বীনি ভাইয়েরাও রেফারেন্স এবং যুক্তি দিয়ে বইটিকে পূর্ণতা দান করেছে। সাজিদের পর এমন একজনকে প্রয়োজন ছিল, যে ইসলাম বিদ্বেষীদের ক্রিয়েটিভ এবং সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের সঠিক ও সরল জবাব উপযুক্ত যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করবে। আর আকাশকে সাজিদের কপি বলাটা অনুচিত বলে মনে করব। এই বইটা পড়ে আকাশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন না। আকাশের দিকটা অনেকটাই বাস্তবিক ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে। যেহেতু সাজিদ ও আকাশ একই পথের পথিক, তাই মিল থাকবে। তবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যদি আল্লাহ তাওফীক দেন, আপনাদের হৃদয়ে জায়গা করতে পারি, তাহলে আকাশকে নিয়ে ভিন্ন একটি বই লিখব ইনশাআল্লাহ। যেহেতু বয়সের তুলনায় আকাশ ছোট, তাই তাকে সাজিদের ছোট ভাই হিসেবে ধরে নেয়ার অধিকার পাঠকবৃন্দকে দেয়া হয়েছে। তবে আকাশের লক্ষ্য ডা. জাকির নায়েকের মতো হওয়া। বিশ্বের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে সত্যের বাণীকে পৌঁছে দেয়া। বইটিতে আকাশের কথাগুলো খুবই সহজ সরলভাবে সাবলীল ভাষায় তুলে ধরার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু সফল হয়েছি, তবে ব্যর্থ হলেও আফসোস নাই, কারণ চেষ্টাটা ছিল রবের সন্তষ্টির জন্য। রব সন্তুষ্ট হলেই এই অধমের জন্য যথেষ্ট। কেননা মুমিন যখন ময়দানে নামে, তার হেরে যাওয়ার মধ্যে ক্ষতি নেই। কারণ সে নামেই একজনকে খুশি করার জন্য। যদি তিনি খুশি না হন, তার জেতার মধ্যেও লাভ নাই। বলা যায়, সে জিতলেও প্রকৃতভাবে হেরে গেলো। ‘আকাশ দ্য বিলিভার’ শুধুমাত্র বই না, নিরাশার অন্ধকারের মধ্যে এক আশার আলো। যার আলোকরশ্নি দূরীভূত করবে তরুণ—তরুণীদের হৃদয়ে সংশয়ের অন্ধকারকে।
Tk.
150
93
Tk.
180
130
Tk.
200
190
Tk.
100
75
Tk.
580
319
Tk.
80
60
Tk.
192
131