আনিচ মুন্সির এ প্রবন্ধ সংকলনটি মুলত একজন সমাজ সংস্কারকের মনের কথা,মনের আক্ষেপ। সমাজ নিয়ে তিনি ভাবেন। সমষ্টিগত স্বার্থ নিয়ে তিনি চিন্তা করেন,ব্যক্তি স্বার্থের তুলনায় তিনি সামাজিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেন। এককভাবে ভালো থাকার চাইতে পারস্পরিক সহযোগিতায় সবার মঙ্গল সাধনই আনিচ মুন্সীর মনের বাসনা। তিনি তার প্রতিটি প্রবন্ধেই সমাজ বাস্তবতা তুলে ধরেছেন এবং করণীয় সম্পর্কে তার মতামত উপস্থাপন করেছেন। শর্ট সাজেশন শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদানে অনাগ্রহ,কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে অশিক্ষার প্রতি ছাত্রদের ধাবিত করে। সুশিক্ষা,নৈতিক শিক্ষা ও মানবিক শিক্ষার খুব অভাব দেখা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামক এ সকল সার্টিফিকেট তৈরির কারখানাগুলোতে। যে যাই বলুক ভাই,আমার সোনার হরিণ চাই। এই নীতি গ্রহণ করে কেউ যদি জীবন বাস্তবতাকে অস্বীকার করে শুধু সুখের পিছনে ছুটতে থাকে তবে সে কখনো সুখের সন্ধান পাবে না বরং কাঙখিত জিনিস না পাওয়ার দুঃখবোধ বাড়বে। তার ভাষ্যে সুখ-দুঃখ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই সুখকে নিয়ে এত লালায়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘুষ মারাত্মক ভাবে ঘুষগ্রহিতার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। সে বিষয়ে লোকজনের যথার্থ সংবেদনশীলতা থাকলে মানুষ কখনো ঘুষ গ্রহণ করত না। তাই সবারই ভালো থাকার স্বার্থে কখনো ঘুষ গ্রহণ করা উচিৎ নয়। চমতকার সব সমাজভাবনা আনিচ মুন্সীর এই আমু ভাইয়ের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উঠে এসেছে। একটি যথাযথ মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ গঠনে সুপাঠ্য এই বইখানি তরুণ সমাজের গোচরে আসা উচিৎ বলে আমি মনে কর।
Tk.
575
431
Tk.
210
158
Tk.
325
244
Tk.
160
120
Tk.
430
361
Tk.
250
188
Tk. 440
Tk.
225
175
Tk.
250
205
Tk.
100
74
Tk.
240
132