হযরত নূহ (আঃ) এর এক পুত্রের নাম ছিল হাম, হামের এক পুত্রের নাম ছিল হিন্দ। তার বসতি ছিল সিন্ধু নদীর তীরে। ধারনা করা হয়ে থাকে, হিন্দুস্থান এই হিন্দের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্রের নাম ছিল বং। ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, ‘বং’ ও তার সন্তানেরা এই অঞ্চলে (দুই বাংলা)—তে বসতি স্থাপন করায় এই অঞ্চল ‘বঙ্গ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলার প্রাচীন নাম ‘বঙ্গ’ থেকেই কালের পরিক্রমায় যে আজকের ‘বাংলা’ তাতে কোন ভুল নেই। উপমহাদেশের প্রত্যেকটি দেশ গঠনে রয়েছে আলাদা আলাদা ইতিহাস। উপমহাদেশের মূল বাংলা বলতে ভারতকেই বুঝায়। ভারতের নামকরণে দুটি দিক লক্ষ করা যায়। এই দেশটির অর্থ সম্বলিত দুটি নাম, যথা: ভারত, ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া শব্দের উৎপত্তি ইংরেজি শব্দ ‘ওহফঁং’ থেকে, সংস্কৃত ভাষায় যার অর্থ ‘সিন্ধু’। অন্যদিকে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন, ঋগবেদ রাজার নাম থেকে ‘ভারত’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। নীহাররঞ্জন রায় উল্লেখ করেছেন যে, পাল যুগেই বাংলা ভাষা সবেমাত্র গড়ে উঠেছিল। ডক্টর এনামুল হক লিখেছেন, ‘খ্রিস্টীয় নবম হতে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে বাংলা ভাষা স্থায়ী রুপ লাভ করে। বৌদ্ধদের গান ও দোহাগুলি সে কালের বাংলা ভাষার নিদর্শন। ‘বঙ্গ’—কে শাসন করেছে এক এক সময়ে এক এক শাসকগোষ্ঠী। প্রাচীন যুগে জনপদগুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। বাংলাকে শাসন করেছে পাল, সেন, গুপ্ত, তুর্কি, আফগান, হাবশী, সূরী, কররানী, থেকে শুরু করে মুঘল, বারভঁূইয়াসহ বিভিন্ন হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম শাসকগণ। এসব শাসকগণ যুদ্ধের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বাংলা দখল নিতেন, আবার যুদ্ধে হেরে গেলে সন্ধি চুক্তির মাধ্যমে তার সীমানা ছেড়ে দিতেন। যে কারণে মানচিত্রে—সীমানা কখনো বেড়ে যেতো, কখনো কমে যেতো।
Tk.
330
248
Tk.
280
252
Tk.
330
271