বাংলার শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের বিশদ ও ধারাবাহিক আলোচনা বেশ কঠিন বিষয়। এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতার অভাব ও প্রয়োজনীয় তথ্যের অপ্রতুলতা। প্রাচীন বাংলার প-িত ও লেখকেরা কাব্য ও শাস্ত্রীর গ্রন্থ রচনায় যতটা আগ্রহী ছিলেন রাজনৈতিক কিংবা রাজ্যশাসন বিষয়ক গ্রন্থ রচনার ততটা আগ্রহী ছিলেন না। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা তথ্যবহুল এবং নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো দেশের বিভিন্ন স্থানে আবিষ্কৃত বিভিন্ন যুগে উৎকীর্ণ তাম্রশাসনসমূহ। সমসাময়িক ইতিহাস গ্রন্থ, প্রস্তরলিপি ও আবিষ্কৃত মুদ্রার স্বল্পতা নিঃসন্দেহে তাম্রশাসনসমূহের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পাল, চন্দ্র, সেন ইত্যাদি রাজবংশের শাসনামলের প্রত্যেকটি তাম্রশাসনকে এক একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইতিহাস গ্রন্থ বলা যায়। গুপ্ত সম্রাটদের সময় থেকে প্রাচীন যুগের পরিসমাপ্তি পর্যন্ত এই তাম্রশাসনসমূহ শাসন বিভাগের বহু প্রকার বৈশিষ্ট্যের উপর আলোকপাত করেছে। তাম্রশাসনসমূহে রাজনৈতিক বিভাগ, রাজকর্মচারীদের নামোল্লেখ এবং রাজকর্মচারীদের পদের উল্লেখ প্রাচীন বাংলার প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটি মোটামুটি ধারণা দিতে পারে। শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের মধ্যযুগকে সুলতানী আমল এবং মোগল আমলে ভাগ করার একটি বৃহৎ কারণ উভয় যুগের শাসনব্যবস্থার নিজস্বতা ফুটিয়ে তোলা। বাংলা ছিল সুলতানী আমলে স্বাধীন কিন্তু মোগল আমলে হলো মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত। সুলতানী আমলে বাংলায় নিজস্ব শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল পক্ষান্তরে মোগল আমলে সাম্রাজ্যের অন্যান্য অংশের ন্যায় বাংলায়ও মোগল প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে কিছুটা হেরফের থাকলেও উভয় যুগেই শাসন ব্যবস্থা ছিল দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
Tk.
1500
1343
Tk.
150
113
Tk.
350
263
Tk.
125
110
Tk.
350
263
Tk.
250
188
Tk.
400
328
Tk.
300
210
Tk.
130
104
Tk.
350
210
Tk.
240
140