এই পৃথিবীতে অনেক মানুষই এসেছে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে। আর কিছু মানুষ এসেছে ইতিহাসকে বদলে দিতে। সেই কিছু মানুষের একজন বখতিয়ার খলজি। অথচ তার সম্পর্কে কতটুকুই বা লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়? যা লেখা আছে, তাও বখতিয়ারের মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী পরে তারই এক সহযোদ্ধার কাছে থেকে শুনে। বৃদ্ধ সেই সহযোদ্ধার বর্ণিত ইতিহাস লিখে রেখে গেছেন পারস্য দেশীয় ইতিহাসবিদ, মিনহাজ-ই-সিরাজ, তার ‘ত্ববাকত-ই-নাসিরী’ গ্রন্থে। স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতি এবং শ্রুতিনির্ভর ইতিহাসে থাকে অসামঞ্জস্য, থাকে ভুল। থাকে অনিচ্ছাকৃত বর্জন কিংবা প¶পাতদুষ্ট অতিরঞ্জন। থাকে লেখকের ব্যক্তিগত মতামত ও ধর্মীয় মতবাদের প্রতিফলন। আর সেই কারণেই ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে বখতিয়ার হয়ে উঠেছে এক অন্যতম বিতর্কিত চরিত্রের নাম। প¶ে ও বিপ¶ে হয়েছে প্রচুর বিতর্ক। হয়েছে অনেক চুলচেরা বিশ্লেষণ। আমি ইতিহাসবিদ কিংবা গবেষক নই। সেই সব বিতর্ক ও বিশ্লেষণের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই আমার। আমি খোঁজার চেষ্টা করেছি সেই উচ্চাভিলাষী বখতিয়ারকে, যে প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় আফগানি¯—ান থেকে এসে তৎকালীন মগধ ও গৌড়ের অধিপতি হয়েছিল। আমি দেখার চেষ্টা করেছি সেই অদম্য অশ্বারোহীকে, যে বাংলা ও বিহারে ধূমকেতুর মতো উদয় হয়েছিল, আবার উল্কার মতোই হারিয়ে গিয়েছিল। আমি বোঝার চেষ্টা করেছি একজন মানুষ বখতিয়ারকে, যার জীবনের সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, প্রেম ভালোবাসার কথা কেউ বলেনি। ব্যক্তি বখতিয়ারের বর্ণাঢ্য সেই জীবনকে ধরতে গিয়ে, আমাকে বুঝতে হয়েছে তৎকালীন ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রে¶াপট। পড়তে হয়েছে প্রথতযশা সব লেখকদের প্রচুর বইপত্র। কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ একটা নির্ঘণ্ট পরিশিষ্টে যুক্ত করা হলো। সব শেষে বলি, আমি কোনো ইতিহাস লিখিনি। ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে উপন্যাস লিখেছি। তবে চেষ্টা করেছি, ইতিহাসের ধারাবাহিকতা র¶া করার। চেষ্টা করেছি, বর্ণিত সকল ঐতিহাসিক চরিত্রের প্রতি নির্মোহ ও নিরপে¶ থাকার। কতটুকু সার্থক হয়েছি, সে বিচারের ভার রইল বিদগ্ধ পাঠকের উপর।
Tk.
300
225
Tk.
700
490
Tk.
570
428
Tk.
150
127
Tk.
460
345
Tk.
400
240
Tk.
640
352
Tk.
276
226
Tk.
120
90
Tk.
120
90