খিলাফতে রাশিদা অর্থাৎ বিশ্বমানবতার একটি আলোকদীপ্ত কাফিলা—যারা শেষ নবি মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিরোধানের পর ইসলাম-ধর্মের হাল ধরেন। ইসলামের তীব্র জ্যোতির্ময় বিচ্ছুরিত আলোকচ্ছটা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেন। নবিজির আনীত সাচ্চা ওহিপূর্ণ ধর্মে কোনোরূপ বিকৃতি হতে দেননি। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ—কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের বিধানকে অবিকল অক্ষুণ্ন রেখে শান্তিপ্রিয় ইসলামি-মানবতাবোধকে একচুলও বিচ্যুত হতে দেননি। যারা বিনয়ে নম্রকণ্ঠ। বিদ্রোহে উচ্চশির। দান-অনুদানে মুক্তহস্ত। চিন্তাদর্শনে স্বচ্ছ ও সম্ভ্রমশীল। গোটা মুসলিম উম্মাহ যাদের মহত্তম কর্ম-অনুপ্রেরণায় দীপিত-উজ্জীবিত। এমনই ছিলেন ইসলামের মহান চার খলিফা তথা আবু বকর সিদ্দিক, উমর ইবনুল খাত্তাব, উসমান ইবনু আফফান ও আলি ইবনু আবি তালিব—রাদিয়াল্লাহু আনহুম। নিখাদ, নিখুঁত ও নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী পৃথিবীর সেরা মানুষ। তারা যুদ্ধ করেছেন। সন্ধি করেছেন। তরজা করেছেন। রাষ্ট্রপরিচালনা করেছেন। ব্যক্তি ও সমষ্টিগত জীবনে ইসলামের সর্বোত্তম সুন্দর আদর্শটি বেছে নিয়ে তার পর সেই অনুপাতে পথ চলেছেন। সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে চির আপসহীন এই চার-সাহাবির জীবনে এমন কোনো ঘটনা নেই, যাতে পরবর্তী কালের উম্মাহর জন্য শিক্ষা ও তারবিয়ত নেই। তাদের সকল ঘটনা ও আচরিত জীবন থেকে, চিন্তা ও অনুভাবনা থেকে সবক হাসিল করেই মুসলিম উম্মাহ সঠিক পথের দিশা পান। ‘ইসলাম, সে তো পরশ-মানিক, তাকে কে পেয়েছে খুঁজি পরশে তাহার সোনা হল যারা, তাদেরেই মোরা বুঝি।’ অথবা আসহাবি কাননুজুম… অর্থাৎ আমার সাহাবিগণ নক্ষত্রতুল্য। যারই অনুসরণ করা হোক, হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে। এমন হিদায়েতপ্রাপ্ত, আলোকময় ও সোনার মানুষদের সর্দার ও নেতৃস্থানীয় চার সাহাবির বিশ্বস্ত ও বিশদ জীবনী নিরপেক্ষভাবে জানতে হলে বাংলা ভাষায় এই বই পাঠের বিকল্প নেই।
Tk.
140
77
Tk.
200
120
Tk.
400
220
Tk.
760
471
Tk.
200
124
Tk.
200
150
Tk.
80
74
Tk.
200
150