+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
বই পরিচিতি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইরান সরকারকে কেন উৎখাত করেছে সিআইএ? গত চার দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র কেন ইরানকে নিজেদের অন্যতম শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে আসছে? ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল কি ফলপ্রসূ হয়েছে? নাকি খুব শিগগিরই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র? ‘সিআইএ ইন ইরান’-এ সাবেক সিআইএ অফিসার জন সি. কিরিয়াকো ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক গ্যারেথ পোর্টার ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে আর কেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে; কিংবা ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪০ বছর ধরে এমন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে! গ্রন্থকারদ্বয় গত ৪০ বছর ধরে চলমান মার্কিন-ইরান দ্বন্দ্বের অন্তরালের কাহিনি তুলে ধরেছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল মিথ্যাচারের যুক্তি খণ্ডানো যায়। এই বইয়ে আছে- ইরান কীভাবে নিপীড়ক ব্রিটিশ ও রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদের মোকাবিলা করেছে, যাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল দেশটির সম্পদ। এছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার প্রাথমিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক। বইটিতে আরও পাবেন : ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পক্ষ নিয়ে ১৯৫৩ সালে মোসাদ্দেক সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ইরানি জনগণের আশা ও স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়, যারা রাষ্ট্রীয় তেল সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল! এরপর ইরানের বিরুদ্ধে সাদ্দাম হুসেইন সরকারের ভয়ংকর রাসায়নিক যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই বইয়ে দেখা যাবে, বিগত তিন দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান-নীতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত মিথ্যাচারের শিকার হয়ে আসছে, যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ফলাফলস্বরূপ ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনি জানবেন- ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি দেশটির তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প, যে-কারণে যুদ্ধের ঝুঁকি কতটা বেড়ে গেছে! সেই সঙ্গে উভয় দেশের জনগণের ওপর ভর করেছে অজানা উৎকণ্ঠা। ‘সিআইএ ইন ইরান’ বইটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশলের ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। ১ম ফ্ল্যাপ ইরানে সিআইএ-র গোয়েন্দা তৎপরতা অনেক বছর ধরেই চলমান, যা সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে আগ্রহ ও আলোচনার মূল বিষয়। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবাদে ইরানের রয়েছে কৌশলগত সুবিধা, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ জটিল। সিআইএ-সহ বিশ্বের অনেক দেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির বিশেষ নজরে এসেছে ইরান। বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য মূলত ইরানে ইন্টেলিজেন্স অপারেশন পরিচালনা করে থাকে সিআইএ। যেমন দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন উপায়ে পরিচালিত হয় এসব অপারেশন। যেমন: HUMINT (Human Intelligence), SIGINT (Signals Intelligence) ও সাইবার অভিযান। ইরানের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের মূল্যবান ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের জন্য সিআইএ নিজেদের এজেন্ট, ইনফর্মার ও নজরদারি সক্ষমতার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল। যাহোক, ইরানে সিআইএ-র ভূমিকা সবসময়ই বিতর্কিত। ইতোমধ্যে মার্কিন-ইরান সম্পর্কে দুশ্চিন্তা বিরাজমান। ইরানের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানের পাশাপাশি দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর সিআইএ আঘাত হানে বলে ইরানি জনগণের অভিযোগ রয়েছে। সিআইএ-র অত্যধিক বাড়াবাড়ির দরুণ উভয় দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এবং বৈরিতা বেড়েছে। এটা উল্লেখ করা জরুরি যে, ইরানে সিআইএ-র অভিযানের অনেকাংশই থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। আর তাই সংবাদপত্র বা বইয়ে যা জানা যায়, তা খুবই সামান্য। তবে সারা বিশ্ব জানে, ইরান থেকে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের পর সিআইএ তা মার্কিন নীতিপ্রণেতাদের কাছে পাঠায়, যাতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায় মধ্যপ্রাচ্যে। মূলত এই এলাকায় ইরানের আধিপত্য রুখে দিতেই সিআইএ-র এত আয়োজন।
Tk.
120
96
Tk.
300
246
Tk.
200
164
Tk.
300
252
Tk.
200
164
Tk.
350
231
Tk.
340
255
Tk.
67
49
Tk.
320
240
Tk. 340