হযরত থানবি রহিমাহুল্লাহ মুসলমানদের অবগত করানোর জন্য সহজ-সরল ভাষায় ঈমানের শাখাগুলু লিপিবদ্ধ করেন। যাতে মুসলিমরা যে ঈমানের দাবি করে, সেটার কতগুলো শাখা রয়েছে, আর সেগুলোর মধ্যে ক’টা পালন করছে আর ক’টা লঙ্ঘন করছে জানতে পারবে এবং এর ফলে ঈমান কতটা পূর্ণাঙ্গ হয়েছে, আর কতটা ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে, তা অনুধাবন করা পারবে। আর যেসব শাখার অভাব নিজেদের মধ্যে দেখবে, সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করতে পারবে। তা পূরণ করার আগে নিজেদের পূর্ণ মুমিন দাবি করতে তারা লজ্জা অনুভব করবে। যদিও দীনের মৌলিক বিষয়গুলো মেনে নিলে নিম্ন স্তরের ঈমান আনা হয়ে যায়, তবে তা অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ। যেমন অন্ধ, বধির, বিকলাঙ্গ ব্যক্তিকেও মানুষ বলা হয়। সবারই জানা আছে, এরূপ ব্যক্তি কেমন মানুষ। ঈমানের এসব শাখার সংকলন দ্বারা আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও যেন জানতে পারে, ইসলামের শিক্ষা হলো পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা। আর ইসলাম তাকেই পরিপূর্ণ মুসলমান মনে করে, যার মধ্যে এসব উত্তম চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। অসম্পূর্ণ মুসলমানদের অবস্থা দেখে কেউ যেন ইসলামকে অসম্পূর্ণ ও অমর্যাদার মনে না করে। কারণ, ইসলামের কাজ হলো মানুষদের সঠিক পথের ঠিকানা দেওয়া। জোড় করে সেরূপ বানিয়ে দেওয়া নয়। যদি কোনো মুসলিমের মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকে, তা হলে সেটার জন্য দায়ী সে নিজে, ইসলাম নয়।
Tk.
340
187
Tk. 450
Tk. 40
Tk.
250
150
Tk.
100
90
Tk.
70
63
Tk.
40
32
Tk.
180
126
Tk.
100
60