এদেশের ভাষা আন্দোলনের দুটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায় ১৯৪৭-‘৪৮ সালের আন্দোলন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন হল ১৯৫২ সালের গণ আন্দোলন। এ দুটি পর্যায় নিয়েই সামগ্রিকভাবে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। আলেমসমাজ ভাষা আন্দোলনের উভয় পর্যায়েই সমানভাবে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও শ্রম-সাধনা ছিল এই আন্দোলনে। জেল-জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন সত্ত্বেও জালিমের রক্তচক্ষু সামান্য টলাতে পারেনি তাঁদেরকে। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে তাঁরা ছিলেন অটল, অবিচল। সেই আলেমসমাজই যখন ভাষাবিরোধী হিসেবে চিত্রিত হয়, তখন সঙ্গত কারণে আমরা ব্যথিত ও ক্রোধান্বিত হই। এই ব্যথা ও ক্রোধই নিজেদের হারানো ইতিহাসকে স্ববলে হাজির করার প্রয়াসে নিরত হতে বাধ্য করে আমাকে। এই প্রচেষ্টারই ফসল ’ইতিহাসের অন্তরালে: ভাষা আন্দোলনে আলেমসমাজের ভূমিকা’ নামক এই বই। অনস্বীকার্য তথ্য ও প্রমাণের মাধ্যমে এ বই সাব্যস্ত করেছে, ভাষা আন্দোলনের পক্ষে অন্যতম প্রধান শক্তি হচ্ছেন এদেশের আলেমসমাজ। এ বইয়ে বিবৃত অমোঘ সত্যকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এখানে অনুমাননির্ভর কিংবা শোনা কথার ভিত্তিতে ইতিহাস লেখা হয়নি। বরং এমন সব ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাকে অগ্রাহ্য করা অসম্ভব। এতকাল ধরে যে সত্য ছিল সবার অগোচরে, এ বই সেই চরম সত্যকে উন্মোচন করেছে আপন শক্তিতে। আমরা আশা করি, এ বই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসচর্চার মোড় ঘুরিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ। এ বইয়ে ভাষা আন্দোলনে উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন এমন বহু আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদের কথা এসেছে। এছাড়াও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে উপমহাদেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদদের মন্তব্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুফাক্কিরে ইসলাম সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ., মাওলানা আবুল কালাম আজাদ রহ., মাওলানা জফর আহমদ উসমানী রহ. ও ডা. ইসরার আহমদ রহ. প্রমুখ। বইটি সম্পর্কে বিশিষ্টজনদের মন্তব্য— *একটা মিথ্যা প্রচার চালু রয়েছে যে বাংলাভাষী আলেম ওলেমারা তাঁদের মাতৃভাষা নয় বরং আরবি ফারসি উর্দুর পক্ষপাতি। এই অনুমান থেকে এই অনুমানও তৈরি হয়— তাহলে তাঁরা নিশ্চয়ই ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না, কিম্বা ভাষা আন্দোলনে তাঁদের কোন ভূমিকা নাই। এই বই এই সকল অনুমান ও প্রচারের গালে চপেটাঘাত হবে। ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সাঈদ হোসাইন দেখিয়েছেন আমাদের আলেম ওলেমাদের ভূমিকা এই ভূয়া প্রচারের পক্ষে সায় দেয় না। বরং ভাষা আন্দোলনে আলেম ওলেমাদের ইতিবাচক ভূমিকা এর বিপরীত সত্যই নিশ্চিত করে। রাষ্ট্র ভাষা বাংলার পক্ষে তাঁদের গৌরবোজ্জ্বক সামাজিক, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ভূমিকা রয়েছে। — ফরহাদ মজহার কবি, দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তক *তরুণ লেখক, আমার স্নেহধন্য সাঈদ হোসাইন লিখিত ‘ভাষা আন্দোলনে আলিমসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক গ্রন্থটি দেখার সুযোগ হয়েছে। মাশাআল্লাহ লেখক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করে গ্রন্থটি সাজিয়েছেন। তাঁর মেহনত প্রশংসার দাবিদার। অনেক অজানা সত্য ও চাপা পড়া ইতিহাস উদ্ঘাটনের সযত্ন প্রয়াস লক্ষ্য করার মতো। এ গ্রন্থটি পাঠকের চোখ খুলে দেবে। মিডিয়ার প্রচারণার ফলে ভাষা আন্দোলনে বাম ঘরানার ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ভূমিকার কথা মানুষ জানে কিন্তু এ ক্ষেত্রে আলিমদের যে গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে, তা ছিল এতদিন নবপ্রজন্মের কাছে অনুদ্ঘাটিত।… ছাত্র শিক্ষক ও সাধারণ পাঠকের সংগ্রহে রাখার মতো এটি মূল্যবান ও সময়োপযোগী গ্রন্থ। আমি গ্রন্থটির ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি এবং দোয়া করি লেখককে যেন আল্লাহ তায়ালা জাযায়ে খায়ের দান করেন, আমিন। —ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন গবেষক ও ইসলামি চিন্তাবিদ *সময়ের প্রয়োজন ছিলো এ বিষয়ে স্বতন্ত্র গ্রন্থ। সাঈদ হোসাইনের বইটি এ ক্ষেত্রে এক অসামান্য কাজ। এ বই লেখকের বহু পরিশ্রমের ফসল। লেখক তরুণ হলেও তার অনুসন্ধিৎসা ও কলমের জোর একজন শক্তিমান লেখকের জানান দেয়। ভাষা আন্দোলনের মূল সড়কে উলামার উজ্জ্বল পদচ্ছাপগুলোকে এ বই সযত্নে হাজির করেছে। যা এ ধারার পরবর্তী কাজগুলোকে সহায়তা করবে। লেখকের এ প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাই। বইটি ব্যাপকভাবে পঠিত হোক, মূল্যায়িত হোক। — মুসা আল হাফিজ কবি, গবেষক ও ইসলামি চিন্তাবিদ
Tk.
200
172
Tk.
300
225
Tk.
450
338
Tk.
560
420
Tk.
900
675
Tk. 300
Tk.
500
450
Tk.
300
165
Tk.
200
120
Tk.
100
73
Tk. 540