ভাষা আন্দোলন সত্যিকার অর্থে শুরু হয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে, সেন রাজবংশের সেই বিধান ‘অষ্টাদশ পুরনানী রামস্য চরিতানীচ ভাষায়ং মানব শ্রতা রৌরবং নরকং ব্রজেত’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাভাষার উপর নেমে এলো অবর্ণনীয় দমন-পীড়ন। ফলে দ্রæতই নিজ গৃহ থেকে উৎখাত হয়ে গেল বাংলা। যারা পারল তারা পাহাড়ে-জঙ্গলে, তিব্বতে-নেপালে পালিয়ে প্রাণ-বাঁচালো। পারল না যারা তারা শিকার হলো গণহত্যার। যে কারণে বাংলাভাষার একটা অক্ষরও বাংলাদেশের মাটিতে পাওয়া যায়নি। পাহাড়পুর, ময়নামতি ও লালমাই বৌদ্ধবিহারকে যারা ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত করেছিল তাদেরই নিষ্ঠুরতার নিচে হারিয়ে গেল বাংলাভাষা ও সাহিত্যের সকল নিদর্শন। ৬৫০ থেকে ১২০০ সাল পর্যন্ত বাঙালিরা সাহিত্যে কী কী করেছিল তার একটা নজীরও আমাদের হাতে ছিল না। ফলে আত্মানুসন্ধানে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে বারবার ছুটে যেতে হয়েছে হিমালয়ে। সেখান থেকে কুড়িয়ে-টুড়িয়ে জোগাড়-যন্ত্র করে আনতে হলো বাংলাভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদকে। সেগুলোও আবার ঠিক সাহিত্য নয়, বৌদ্ধতান্ত্রিকদের সাধনার গান।
Tk.
300
225
Tk.
250
188
Tk.
320
262
Tk.
200
150
Tk.
220
165
Tk.
130
104
Tk.
150
135
Tk.
120
90
Tk.
360
350
Tk.
100
74
Tk. 1000