কাশ্মীর! চেনারের বনে ঝড়ো হাওয়া। হৃদ উত্তাল। সারি সারি মৌন পাহাড়গুলো আর ঘুমিয়ে নেই। বন আর পর্বত কাঁপিয়ে গর্জন করে চলেছে ট্যাংক-কামান-ন্যাট-হানটান। “ভূস্বর্গে” আবার হানাদার। ১৯৬৫-র কাশ্মীর আবার তামাম দুনিয়ার ভাবনা। দিকে দিকে দুশ্চিন্তা, উল্লাস, উত্তেজনা, ফিসফাস। ১৯৬৫-র কাশ্মীর আরও আকষর্ণীয়, কারণ আগুন এবার আরও দাউ দাউ, আরও ব্যাপ্ত। আগস্টের ৫ তারিখে হানাদার এসেছিল রাত্রির অন্ধকারে নিঃশব্দ পায়ে, তস্করের মতো। হাতে আধুনিক অস্ত্র থাকলেও উর্দি ছিল তাদের গায়ে। তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজারের সেই “জিব্রালটার-ফৌজ’ কবরস্থ হওয়ার মুখে মুখোশ ছেড়েই এগিয়ে এসেছিল আসল শত্রু। ১ সেপ্টেম্বর ৭০টি ট্যাংক আর এক ব্রিগেড সুসজ্জিত পদাতিক সৈন্য নিয়ে দুঃসাহসীর মতো আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে ভারত আক্রমণ করেছি পাকিস্তান। ভারত তার জবাব দিয়েছিল খাস পশ্চিম পাকিস্তানের দিকে পথ বাড়িয়ে। বাইশ দিন যুদ্ধের পর ক্ষত-বিক্ষত মুমূর্ষু পাকিস্তান আনত মস্তকে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু কাশ্মীর-উপত্যকা থেকে এখনও সে তা লুব্ধ দৃষ্টি সরিয়ে নেয়নি। এখনও তার মুখে উদ্ধত আস্ফালন, -দরকার হলে হাজার বছর যুদ্ধ চালিয়ে যাবে পাকিস্তান! এখনও সগর্ব প্রতিজ্ঞা- দরকার হলে পাকিস্তান ধরাপৃষ্ঠ থেকে চিরতরে মুছে যাবে কিন্তু তবুও কাশ্মীরের দাবি ছাড়বে না। যুদ্ধ, অতএব থামেনি। আগুন আপাতত ধিকিধিকি জ্বলছে মাত্র শত্রুর প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে অন্যদের কানাকানি, মন্ত্রণা, গুঞ্জনও। ১৯৬৫-র কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বে উত্তেজনার অন্ত নেই।
Tk.
350
263
Tk.
25
17
Tk.
600
492
Tk.
600
450
Tk.
150
113
Tk.
1400
1330
Tk.
190
105
Tk.
265
237
Tk.
375
319
Tk.
350
263
Tk.
460
414