ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থার বৈচিত্র্য অসাধারণ, ঔপনিবেশিকতার ঘূপকাষ্ঠে পতিত প্রথম দেশগুলোর অন্যতম এবং এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে প্রথম উত্থিতদেরও অন্যতম। তাই সঙ্গত কারণেই তা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা-কার্ল মার্কস, ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, ভ ই লেনিনের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ভারতের ঐতিহাসিক নিয়তি তাঁদের কাছে ছিল প্রাচীন থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত মানবজাতির গোটা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অতীতে ভারতের বিপুল ভূমিকার দিকে আঙ্গুলিনির্দেশ কার্ল মার্কস ভারতকে বলেছেন, ‘আমাদের ভাষাসমূহ ও আমাদের ধর্মের সূতিকাগার।’ পুঁজিবাদের যুগে ভারতের ঔপনিবেশিক দাসত্বের স্বরূপ তাঁরা উন্মোচন করেছেন নির্মমভাবে, ভারতীয় জনগণের উদীয়মান মুক্তিসংগ্রামকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন, মুক্তির পথে তার প্রতিটি নতুন পদক্ষেপে আনন্দিত হয়েছেন। সমস্ত শোষণ ও পীড়ন থেকে মুক্ত নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ার জন্য, সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে, লেনিনের উক্তিতে, ‘মানবজাতির বিপুল অধিকাংশের’ সাধারণ সংগ্রামের গতিপথে ভারতের আসন্ন নবজাগৃতির নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। ১৯১৭ সালের মহান অক্টোবর বিপ্লব পরবর্তী সুকৃতিগুলো ভারতের জাতীয় মুক্তির ব্যাপারে যে উদ্বোধক সহায়তা দান করেছে-জাতীয় স্বাধীনতার সংহতি ও সামাজিক প্রগতির জন্য সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে নবীন রাষ্ট্রগুলোর জনগণের সংগ্রামের গতিপথে, সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার সঙ্গে তাদের বর্ধমান সহযোগিতার গতিপথে লেনিনের ভাবধারা ও ভবিষ্যদ্বাণী কীভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে তা পাঠক খুঁজে পাবেন এই বইটিতে।
Tk.
300
180
Tk.
300
269
Tk.
400
232
Tk.
250
188
Tk.
170
102
Tk.
450
338
Tk.
225
169
Tk.
80
60
Tk.
40
22
Tk.
330
248