মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমান সময়ে অর্থ লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। সমাজের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ এর সাথে জড়িত। ছাত্র পেশাজীবী থেকে শুরু করে বেকার ব্যবসায়ী কেউ দূরে নেই এর থেকে। প্রযুক্তি ও আধুনিকায়নের সহজলভ্যতাই মূলত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উদ্ভব ও বিকাশ। প্রতিনিয়ত এর প্রভাব ও প্রয়োজনীয়তা মানবজীবনে অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাথে ইসলামী বহু বিধিমালা সম্পৃক্ত আছে। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা লেনদেন ও আদানপ্রদানের একটি আধুনিক ভার্সন। লেনদেন ও আদানপ্রদানের ব্যাপারে ইসলামের রয়েছে পৃথক ও বিস্তৃত বিধিনিষেধ। এর উদ্ভাবন যেহেতু বর্তমান সময়ে তাই পূর্ববর্তী ফিকহী কিতাবসমূহে এর বিধিবিধান আলোচনা হয়নি। সময়ের বিজ্ঞ আলেম ও ইসলামী গবেষকগণ আধুনিক এ লেনদেন ব্যবস্থার শরয়ী ব্যাখ্যা ও পর্যবেক্ষণ করেছেন। দীর্ঘ গবেষণা ও অভিসন্দর্ভে বেরিয়ে এসেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের শরয়ী অবস্থান। মুফতী মাসুম বিল্লাহ বর্তমান সময়ের একজন আলোচিত ও বিদগ্ধ গবেষক। ইসলাম ও আধুনিক লেনদেনের উপর তার রয়েছে বিস্তর গবেষণা। দীর্ঘদিন তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উপর গবেষণা করেছেন। তারই চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে ইসলামী আইনশাস্ত্রের প্রণীত উৎস থেকে তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের শরয়ী বিধিবিধান পেশ করেছেন। যোগ্য মহলে তা কুড়িয়েছে বেশ প্রশংসা। সম্প্রতি ‘মোবাইল ব্যাংকিং শরয়ী বিধান’ নামে প্রকাশিত হয়েছে আলোচিত গবেষণা গ্রন্থটি। মোবাইল ব্যাংকের পরিচিতি, ক্যাশইন, ক্যাশআউট, মার্চেন্ট_পেমেন্ট, ক্যাশব্যাক, সেন্ডমানি, রেমিটেন্স ট্রান্সফার, এজেন্টের লেনদেন এবং বিবিধ বিষয় ও তার শরয়ী বিধানের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। আলোচ্য গ্রন্থ প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম শুরু শীর্ষ মুফতী আল্লামা দিলাওয়ার হোসাইন দা.বা. বলেছেন, ‘ইতিপূর্বে তিনি এম এল এম ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন। বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর হওয়া সত্ত্বেও মাশাল্লাহ! খুব সচেতনতার সাথে রচনা করতে সক্ষম হয়েছেন। তার লেখাগুলো আলহামদুলিল্লাহ তাহকীক সহকারে যুগোপযোগী হয় বিধায় গ্রহণযোগ্যতা আরো বেড়ে যায়। বক্ষমান গ্রন্থটিও এর ব্যতিক্রম নয়। কুরআন হাদীস ও ফিকহী নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি থেকে উদ্ধৃত করে সাজিয়েছেন।’ লেখক রাজধানী ঢাকার প্রসিদ্ধ উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া আকবর কমপ্লেক্সের সিনিয়র মুফতী ও মুহাদ্দিস৷ একজন যুগোপযোগী লেখক ও ইসলামী চিন্তাবিদ। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশকিছু গবেষণা গ্রন্থ। ইলমী তাহকীকে রয়েছে অসামান্য যোগ্যতা।
Tk.
200
110
Tk.
20
12
Tk.
200
120
Tk.
1950
1813
Tk.
800
496
Tk.
110
66
Tk.
200
150
Tk.
200
150
Tk.
452
420
Tk.
500
375
Tk.
390
363