+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
মি’রাজ রাসূল সা. এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মু’জিযা। এটি সকল নবীর উপর রাসূল সা. এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের দলীলও বটে। গ্রহণযোগ্য মতানুসারে এটি নবুয়্যাতের দ্বাদশ সনে সংঘটিত হয়েছিল। তা হয়েছিল স্বশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায়। তাই তো মক্কার কাফেররা মি’রাজের ঘটনাকে মেনে নেয়নি; বরং মি’রাজ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছিল। মি’রাজকে কেন্দ্র করে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো কিছু দূর্বল প্রকৃতির নও মুসলিমও। অংকের হিসাবের মত হিসেব করে যোগফল মিলিয়ে তারপর মি’রাজে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাইলে কিয়ামত পর্যন্ত হিসেব মিলানো যাবেনা। কারণ এটি মু’জিযা। তাই এ বিষয়ে বিশ্বাস হবে আবু বকর রা. এর মত। অর্থাৎ চিন্তাটা এমন হবে যে, আমার রাসূল সা. বলেছেন সুতরাং বিনা প্রশ্নেই মেনে নিলাম। মি’রাজ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীছ সংখ্যা অগণিত। প্রায় অর্ধশত সাহাবী মি’রাজের হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এর কোন কোনটি মুতাওয়াতির পর্যায়ে । অসংখ্য হাদীছ থাকার পরও থেমে নেই জালিয়াতদের জালিয়াতি। তারা মি’রাজ প্রসঙ্গেও অনেকগুলো বানোয়াট কাহিনী তৈরি করে হাদীছের নামে চালিয়ে দিয়েছে। আর এ বানোয়াট কাহিনীগুলো মি’রাজের মূল কাহিনীর চেয়েও বেশি জনশ্রুতি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মি’রাজের মূল অবয়ব প্রায় লোপ পেতে বসেছে। যেমন-মি’রাজের রাতে রাসূল সা.- এর আরশে আজীম সফর, আরশে জুতা নিয়ে পদার্পণ, এক কদম অগ্রসর হলে জিব্রাইল আ, -এর জ্বলে যাওয়া, সামান্য সময়ের ভীতরে মি’রাজ সংঘটিত হওয়া, মি’রাজ শেষে ফিরে এসে ওজুর পানি গড়াতে দেখা, বিছানা গরম পাওয়া, দরজার কড়া নড়তে দেখা ও ঐরাতে আত্তাহিয়্যাতু লাভ করা ইত্যাদি বানোয়াট গল্প মি’রাজের ঘটনার মূল জায়গা দখল করে ফেলেছে। অথচ এ কাহিনীগুলো কোন দূর্বল হাদীছ দিয়েও সাব্যস্ত নয়। মি’রাজের এ সফরে আল্লাহ তা’আলা প্রিয় রাসূল সা. কে আকাশ জগতে তাঁর সৃষ্টি লীলার অপূর্ব নিদর্শন পরিদর্শন, জান্নাত ও জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখিয়ে এবং এরাতে নামাজ ফরজ করার মাধ্যমে মি’রাজের এ সফরকে অন্যরকম প্রাণবন্ত একটি সফর ও উম্মতের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তির উপলক্ষ্য করেছেন।
Tk.
150
113
Tk.
125
81
Tk.
580
429
Tk.
400
320
Tk.
50
28
Tk. 30
Tk. 100
Tk.
420
294
Tk.
570
370