দিনে দুইবার খালি চোখে দেখা পাওয়া যায়। ভোরে আর সন্ধ্যায় দেখা মেলে বলে এটি সবার কাছে পরিচিত শুকতারা ও সন্ধ্যাতারা নামে। প্রাচীন ভারতবর্ষে গ্রহটিকে পুণ্যের চোখে দেখা হতো। তাই আদি জ্যোতির্বিদরা এর নাম দিয়েছে ‘মঙ্গল’। অবশ্য ইউরোপীয়দের হিসাব একেবারে উল্টো। গ্রহটির লালচে ধূসর রঙের কারণে তারা এর নাম রাখে ‘মার্স’। রোমান পুরাণে মার্স হচ্ছেন যুদ্ধের দেবতা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো বালাই নেই মঙ্গলে। এমনকি সৌরজগতে গ্রহ গঠনের জন্য যেসব উপাদান সূর্যের চারিদিকে ঘুরে বেড়ায় সেগুলোর সঙ্গেও মঙ্গলের কখনো কোনো সংঘর্ষই হয়নি। তাহলে কেমন করে গঠিত হলো সৌরজগতের এই চতুর্থ গ্রহটি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে অর্থাৎ মহাকাশে অভিযানে অনেক ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। দীর্ঘ সময় যানে থাকতে হয় বলে নভোচারীদের মধ্যে বিরূপ মানসিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ তৈরি হয়। সম্ভাব্য অভিযানে মঙ্গলে যাতায়াতে সময় লাগবে ৫০০ দিনের বেশি। মঙ্গলের লাল মাটিতে পা ফেলে ক’দিন আগেই মানুষের স্বপ্নকে প্রসারিত করেছিল নাসার মহাশূন্যযান মার্স রোভার। যার আরেক নাম কিউরিওসিটি। সম্প্রতি মঙ্গলপৃষ্ঠের দর্শনীয় বেশ কিছু উচ্চ-রেজুলেশনের ছবি পাঠিয়েছে। এ রোবো যানটি। তাতে উঠে এসেছে মঙ্গলের পাহাড়, পাহাড়ি অববাহিকা আর গিরিখাত। আর এগুলোর মাটি, নুড়িপাথর, উপস্থিতির যে পৃথিবীরই অনেক স্থানের অনুরূপ! তাহলে কী মঙ্গলে বসবাসের স্বপ্নটা সত্যি হতে যাচ্ছে? কিউরিওসিটির বাংলা কৌত‚হল। ‘কৌত‚হল’ তাহলে কৌত‚হল বাড়িয়েই দিল আরও। এ বইটি পাঠ করে ছোট বড় সবাই অজানাকে জানতে পারবে বলে আমার বিশ^াস।
Tk.
175
131
Tk.
180
135
Tk.
300
246
Tk.
220
180
Tk.
250
205
Tk.
320
240
Tk.
150
113
Tk. 100
Tk.
600
360
Tk.
360
270
Tk.
350
287