+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
“ মুখের যিনা গীবত” বইটির লেখাঃ আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত আমাদেরকে তাঁর প্রিয় মাখলুক করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি মানুষ এবং জিনজাতিকে অনেক নেয়ামত দান করেছেন। তন্মধ্যে জিহ্বা ও কথা বলার শক্তি অন্যতম। একজন মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে সর্বোপরি মুখ-জিহ্বা বা জবানের ব্যবহার করে। আল্লাহ তায়ালা কালামে পাকে বলেন: অর্থ : “আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাকে ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন “ অন্যত্রে আল্লাহ বলেন: অর্থ: “আর তোমরা মানুষের সাথে উত্তম কথা বলো!” কথা বলা মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষ মুখদিয়ে কথা বলে। নিজ মনের ভাব-অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। কিন্তু অনেক সময় মানুষের এ বাকশক্তির অপব্যবহার পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অকল্যাণ বয়ে আনে। জিহ্বার লাগামহীন ব্যবহার বিপর্যয়ের কারণ হয়। ইসলাম কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক ও সংযমী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জিহ্বার হেফাজত ও কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজেও এ ব্যাপারে পূর্ণ সতর্ক থাকতেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের সঠিক ব্যবহার তথা হেফাজতের নিশ্চয়তা দিবে, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই (সত্যতা যাচাই করা ব্যতীত) বলে। হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে। কেউ জ্ঞানী হওয়ার আলামত হলো- তার কম কথা বলা। তাই মানুষের উচিত- প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা না বলা। প্রয়োজনীয় কথার অর্থ হলো- যেসব কথা নেকি অর্জনের উদ্দেশ্যে বলা হয়, যেসব কথা গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য বলা হয়, যেসব কথা না বললে পার্থিব ক্ষতি হয়। বেশি কথা বলার দ্বারা মানুষ অকারণে অনেক গোনাহে লিপ্ত হয়। এসব গোনাহের অন্যতম হলো- মিথ্যা বলা, গীবত করা, নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করা, কাউকে অভিশাপ দেওয়া, কারও সঙ্গে অহেতুক তর্ক জড়ানো, অতিরিক্ত হাসিঠাট্টা করতে গিয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়া ইত্যাদি। এক কথায় বলা যায়, কম কথা বলার অভ্যাস থাকলে অনেক গোনাহ থেকে নিরাপদ থাকা যায় । বর্তমান চোখের কুদৃষ্টির সাথে গীবতের ভয়াবহতা এতই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে, মূর্খ লোকদের মতো অনেক জ্ঞানী-গুনীরাও নিরাপদ নন। একজন দ্বীনের রাহবারও নির্দ্বিধায় অন্য জনের গীবত-পরনিন্দা ও গালি- গালাজসহ আরো কত কি করছে! যা ভাবলে গা শিউরে উঠে। আমরা এটা ভুলে গিয়েছি যে, অন্যান্য হারামের মতো “ গীবত” করাও একটি হারাম কাজ। বর্তমানে আমরা অনেকেই নিজেদের অগোচরে গীবতকে মজলিসের মূল বিষয়বস্তুবানিয়ে ফেলি। যা খুবই দুঃখজনক। ইতিপূর্বে, আমাদের প্রকাশিত চোখের হেফাজত বা দৃষ্টির সংরক্ষণ সম্পর্কিত পাঠক প্রিয় বই “ চোখের যিনা কুদৃষ্টি” এর ধারাবাহিকতায়ই এই বই। এখানে কোরআন ও হাদীসের আলোকে এবং উলামায়ে হক্কানীদের নসিহতের মাধ্যমে গীবতের ভয়াবহতা ও পরিণতি সম্পর্কে মুসলিম ভাই- বোনদের সচেতন ও সতর্ক করায় আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
Tk.
480
297
Tk.
120
89
Tk.
650
396
Tk.
150
90
Tk.
150
90
Tk.
120
93
Tk.
200
150
Tk. 3500
Tk.
150
112