প্রেমে দায়িত্ব থাকেনা তাই শাসনও থাকেনা। বিয়েতে দায়িত্ব থাকে বলেই দুজনের প্রতি দুজনের শাসন পরোক্ষভাবে চলতে থাকে। এ এক অসাধারণ অধিকারবোধ। একে অন্যের হয়ে থাকা। বিয়ে বিহীন প্রেম হলো চুলকানির মতো। চোখের দেখাতেই চুলকানি শুরু। আর চুলকাতে কার না আরাম লাগে বলুন। কিন্তু চুলকানো শেষে জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণা ভুক্তভোগী মাত্রেরই অজানা নয়। এই চুলকানি খোস পাঁচড়ার মতোই ছোঁয়াচে। আর সেকারণেই এটি বর্তমান সমাজে সকল কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণীকে গ্রাস করেছে। এটি এখন সর্বগ্রাসী মহামারিতে রূপ নিয়েছে। প্রকৃতিগত ভাবেই নারী অবস্থানগত দুর্বলত আর শারিরীকভাবে সীমাবদ্ধ। সেকারণে নারী এখানে দুর্বল প্রতিপক্ষ তাই সতর্কতা নারীকেই অবলম্বন করতে হবে। স্বামী কে…? বলতো বোনেরা। স্বামী সে,যে সংসারের নেতা,যে তোমার জান্নাত জাহান্নাম। যে তোমার লেবাস পোশাক। যে তোমার যৌবনের পাহারাদার। যে তোমার সন্তানের পিতা। যে তোমার এসকর্ট /চড়নদার। যে তোমার রূপ দেখার আয়না। যে তোমার দেহের অলংকার। যে তোমার ইহ-পরকালের সাথী। যে তোমার সিজদার যোগ্য মান্যবর।(যদি রবের আদেশ হতো) মহান আল্লাহ বলেন,” তারা তোমাদের পোশাক আর তোমরা তাদের পোশাক। শরীয়তে বৈধ এমন প্রতিটি কথায় ও কাজে তার আনুগত্য করো। জীবন সহজ হবে। অনেকে হয়ত বলবে,স্বামীকে এত মানার কী আছে ? সে কী পীর নাকি ? তুমি বলে দাও,সে তো পীরের চেয়ে বড়। কারণ পীর তো সিজদার যোগ্য না। স্বয়ং রাসুল সাঃ ও সিজদার যোগ্য নন। একমাত্র স্বামীই সিজদার যোগ্য। এ তোমার রবের কথা। আমাদের রব সিজদার অনুমতি দিলে একমাত্র স্বামীই হতেন সেই ব্যক্তি যিনি স্ত্রী’র সিজদা পেতেন। ঘুম ভাঙলো ফোনের শব্দে। পাশ ফিরতেই দেখলো হাসান নেই। বেলাও চড়ে গেছে অনেকটা। একটু অবাকই হলো সে। হাসান কখন জাগলো আর কখন বেরিয়ে গেলো মায়া টেরই পেলোনা। অবশ্য হাসান এমনই। ওকে গভীর ঘুমে দেখলে সহজে ডাকবে না। বাইরে গিয়ে নাস্তা খেয়ে নেবে। আজও হয়তো সেটাই করেছে। মোবাইলটা আবারও বাজতেই সেটা চোখের সামনে এনে দেখলো কেয়ার কল। রিসিভ করে কানে ঠেকালো। হম,বল কেয়া ? ” -” কী করিস ? রাঁধিস না ঘর গুছাস ? নাকি জামাই এর পা টিপোস? ” -” কোনোটাই না। কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। ” মুখ টিপে হাসলো মায়া। -” ওয়াও,ভেরী গুড। এই তো তোর হচ্ছে। এ্যাই,ঘরে কে আছে রে…? ” -” কেউ নাই। ” -” যাক্,ভালোই। ঐ শেয়াল শকুনের পাল থেকে নিস্তার পেতে মাঝেমধ্যে এরকম একটু একা হবার দরকার আছে। একটু কষ্ট করে উঠে দরজাটা লক করে দিয়ে তারপর কাঁথাটা গা থেকে ছুঁড়ে ফেলে এনজয় কর। কাঁথামুড়ির নাটক কষ্ট করে করার দরকার কী। কেউ দরজা নক করলে বলবি মাথা ধরেছে।” -” কেউ দরজা নক করবে না। আর এটা নাটক না। সত্যিই আমার শরীরটা কিছুদিন যাবৎ ভালো নেই।” বলতে বলতে উঠে বসতে গিয়ে টের পেলো ওর সত্যিই মাথা ধরেছে। আসলে এতো বেলা পর্যন্ত শুয়ে থাকার অভ্যাস নেই ওর। সে কারণেই হয়তো। উঠতে গিয়ে মাথাটা আরেকবার চক্কর দিলে দ্রুত খাট ধরে নিজেকে সামলালো। সাবধানে বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে ভাবতে বসলো। আজ কী ডাক্তার বসবে ? ঈদের পরদিন তো ডাক্তার বসেনা। ওর ডাক্তার দেখানো দরকার। এতো অসুস্থ বোধ হবার কারণ কী ! মন খারাপের ছায়া কী শরীরে পড়লো নাকি !
Tk.
200
120
Tk.
140
105
Tk. 60
Tk.
120
72
Tk.
340
204
Tk.
200
164
Tk.
186
121
Tk.
300
210
Tk. 1500
Tk.
760
558
Tk.
450
315