যে যাকে ভালোবাসে সে তার প্রিয়তমের সবটুকু রূপের বর্ণনা না দিতে পারলেও যতটুকু সম্ভব ততটুকুই বলে বেড়ায়। এতে প্রেমিকের তৃপ্তি, হৃদয়ের আনন্দ, ভালোবাসার সার্থকতা। আমাদের প্রিয়তম নবী (সা.)-এর বেলায়ও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সাহাবারা যেমন প্রাণভরে রাসূল (সা.)-এর দর্শন উপভোগ করতেন, তেমনি প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন তাঁর রূপের বর্ণনা দিতে। রাসূল (সা.)-এর রূপের বর্ণনা দিতে যেয়ে সাহাবারা শব্দ এবং সমৃদ্ধির নতুন একটি অংশ হিসাবে সংযোজন হয়ে আছে। সাহাবাদের এসব বর্ণনাকে সামনে রাখলে ধ্যানের জগতে রাসূল (সা.)-এর একটা প্রতিচ্ছবি অংকন করা যায়। যারা রাসূল (সা.)-কে বাস্তবে দেখতে পায়নি বা অন্তত স্বপ্নের জগতেও জিয়ারতের ভাগ্য জুটেনি, তাদের জন্যে ধ্যানের এ খোরাক বিশাল কিছু। সাহাবাগণ রাসূল (সা.)-এর দেহের প্রতিটি অঙ্গের বিবরণ তুলে ধরেছেন নিখুঁতভাবে। নবী করীম (সা.)-এর দেহের এই বিবরণকে আরবী পরিভাষায় ‘শামায়েলে নববী’ বলা হয়। শামায়েলে নববীর উপর আরবী-উর্দু ভাষায় পর্যাপ্ত বই থাকলেও বাংলা ভাষায় শামায়েলে নববী এখনও রচিত হয়নি। আসলে এতটুকু বললেও মনে হয় অত্যুক্তি হবে না যে, আমাদের এ বইটি যে আঙ্গিকে রচিত, এই আঙ্গিকে বাংলা ভাষায় রচিত সীরাতের বই এখনও আমাদের নজরে আসেনি। শামায়েলের অনেকগুলো অধ্যায়ের মধ্যে এখানে শুধু দেহ মোবারক এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বইটি রচিত। কেমন ছিল রাসূল (সা.)-এর প্রতিটি অঙ্গের আকার-আকৃতি এবং এসবের বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ কি ছিল, শুধু এ সবের বিবরণ স্থান পেয়েছে এ বইতে। বইটিকে পুর্ণমাত্রায় রূপ দিতে সীরাত এবং হাদীস গ্রন্থ থেকে কমপক্ষে পঞ্চাশটিরও বেশী বইয়ের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় অনেক সময় পূর্ণ হাদীস না এনে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশটুকুই গ্রহণ করা হয়েছে।
Tk.
700
525
Tk.
320
186
Tk.
100
70
Tk.
70
63
Tk.
150
113
Tk.
650
520
Tk.
690
545
Tk.
160
120
Tk.
267
200