+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
‘অমুসলিমের সঙ্গে যেমন ছিলেন রাসূল (সা.)’ মুসলিমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আজ নির্যাতিত ও নিপীড়িত হচ্ছে। তার একটি অন্যতম কারণ হলো, মুসলিমরা ইসলামের সৌন্দর্যকে অন্যদের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। কেননা সেসব অমুসলিম তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুনে আসছে, ইসলাম তরবারির মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে। আবার তারা মহানবী (সা.)-এর সম্পর্কে যা জেনেছে তা প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচারে ভরা, যা প্রাচ্যবিদরা অসংখ্য গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে প্রচার করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের তাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকহারে তা পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রাচ্যবিদদের সেসব মিথ্যাচারকে বিশ্বাস করে চলেছে। কখনও কখনও তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যেও খারাপ প্রভাব ফেলছে। বিখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ ড. রাগেব সারজানি ‘অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ শিরোনামে একটি অনবদ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন। এতে তিনি অমুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের প্রিয়নবী (সা.)-এর উদারতা, ক্ষমা ও অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিপুণভাবে তুলে ধরতে সমর্থ্য হয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা ও চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য বইটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিষয়ে বাংলা ভাষায় কোনো বই আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। বইটিকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে অনুবাদ করেছেন, ‘ইসলাম হাউজ’র নিয়মিত লেখক ও অনুবাদক মুফতি সাইফুল ইসলাম। বইটি সাজানো হয়েছে যথারীতি সম্পাদকীয় কলাম, অনুবাদকের কথা, লেখকের ভূমিকা ও ছয়টি অধ্যায়ে। [ প্রথম অধ্যায় : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ। এ অধ্যায়ে লেখক শাশ্বত দ্বীন ইসলামের বিরোধীদের বিরোধিতার কারণ ও মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা স্বরূপ উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি একজন মানুষকে ইসলাম কীভাবে মূল্যায়ন করেছে, তার দালিলিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায় : অমুসলিমদের স্বীকৃতি। এখানে সব রকম সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে অভূতপূর্ব ও অভাবনীয়ভাবে বিভিন্ন শ্রেণির অমুসলিমদের সামাজিক স্বীকৃতি দানের প্রমাণভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তৃতীয় অধ্যায় : অমুসলিমদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর সম্মান প্রদর্শন। বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে মানবতার মুক্তিদূত রাসুল (সা.) অমুসলিমদের প্রতি যে মোহনীয় সম্মান প্রদর্শন করেছেন, তার দালীলিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এ অংশটিতে। চতুর্থ অধ্যায় : অমুসলিমদের সঙ্গে ন্যায়পরায়ণতা। রাসুল (সা.) যে সমাজে বসবাস করতেন, তার অধিকাংশই ছিল অমুসলিম। আর সামাজিক জীবনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ধর্ম-বর্ণকেন্দ্রিক চিন্তা-চেতনার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি তাদের সঙ্গে যে ধরনের ন্যায়-নিষ্ঠার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন, তার প্রমাণভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন। পঞ্চম অধ্যায় : অমুসলিমদের সঙ্গে সদাচারণ। রাসুল (সা.) দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তারই সমাজের লোকেরা তার বিরুদ্ধে সর্বোতভাবে লেগে গিয়েছিল। প্রতিটি কদমে তাকে বাধাগ্রস্ত করার সর্বব্যাপী প্রচেষ্টায় তাদের কমতি ছিল না। তারপরও বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে তাদের সঙ্গে তিনি যে ধরনের অতিমানবীয় সদাচারণের নজির স্থাপন করেছেন, তার দালিলিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ষষ্ঠ অধ্যায় : রাসুল (সা.) ও বিরোধী নেতাদের সঙ্গে তার সদাচরণ। রাসুল (সা.)-এর মক্কা-জীবনে যারা তাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছিল, যারা ইসলাম ও মুসলিমদের সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দিয়েছিল, তাদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর তিনি তাদের সঙ্গে যে ধরনের অমানবীয়, অবর্ণনীয়, অকল্পনীয় সদাচরণ আর ক্ষমার নজির স্থাপন করে গেছেন, তারই দলিলপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সবশেষে লেখক মুসলিম ও অমুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ভিন্ন ভিন্ন তিনটি আবেদন জানিয়েছেন।
Tk. 400
Tk.
2350
1457
Tk.
108
81
Tk.
240
144
Tk.
576
536
Tk.
240
204
Tk.
200
116
Tk.
100
70
Tk.
452
420
Tk.
160
93
Tk.
280
210