পার্থিব ধূলিমালিন্যকে নিচে ফেলে উজ্জ্বল শুকতারার মতো জাতিবর্ণের বহু ঊর্ধ্বে মানবিকতার দিকে সকলের অখণ্ড মনোযোগকে আকৃষ্ট করলেন তিনি। বাদলপোকার মতো যে ক্ষণজীবী ভাবনারা সেই লোকগুলোর মানসিকতায় উৎপাতের মতো সমানে ফরফর করছিল, বজ্রের ঝলকানিতে তাদের হাত-পা-ডানাগুলো পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল চিরদিনের মতো। সেই নির্ঘোষ থেমে গেছে। বিচ্ছিন্ন চেতনাগুলো আবার একসাথে একজোট হয়ে অনেক কুলীন সম্ভ্রম চোখে নিয়ে ফিরে এলো সেই জ্যোৎস্নাপ্লাবিত মুখের চারপাশে। সেই প্রশান্ত মিতবাক মুখে তখন হিরার ধ্যানগম্ভীর মৌনতা। তাঁর চারপাশ ঘিরে নিশীথ বনরাজির বিস্ময়কর নির্জনতা বেজে যাচ্ছিল তখন। সকলে অনুভব করলেন সেই নিশীথ অরণ্যের বিপুল শীর্ষদেশে অস্পষ্ট ধ্বনিপুঞ্জের ওপর আর এক প্রতিধ্বনি, কী এক মহান বারতার মতো অবিরাম ঝরে পড়ছে। হঠাৎ ঘর আলো হওয়ার মতো সকলে দেখতে পেলেন, এসব কথাবার্তা বর্তমানকে অতিক্রম করে আর এক অনন্ত কিছুর দিকে ঝুঁকে আছে।
Tk.
50
36
Tk.
240
132
Tk.
150
90
Tk.
160
99
Tk.
200
140
Tk.
125
113
Tk.
240
180
Tk.
140
105
Tk.
220
121
Tk.
80
48