ফ্ল্যাপে লিখা কথা সে ছিল এক ঝোড়ো সময়। লেনিনের নেতৃত্বে রুশ বিপ্লব সফল হওয়ার পর, এশিয়ার মাটিতে চলতে আর-এক দিকদিশারী বিপ্লবের প্রস্তুতি : মাও সে-তুঙের নেতৃত্বে বিপ্লবের পথে এগোচ্ছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৩০-এর দশকের মধ্যপ্রহর। চীনের কমিউনিস্টরা অনেকটাই এগিয়েছেন লক্ষ্যের দিকে। অথচ তখনও বাইরের দুনিয়ায়, এমনকি কমিউনিস্ট-প্রভাবাধীন এলাকা ছাড়া চীনের অন্যান্য অঞ্চলেও, চীনের কমিউনিস্টদের পরিচিতি চিল ‘লাল দস্যু’ নামে। সেই সময়েই চীনের কমিউনিস্ট-অধিকৃত এলাকায় গিয়েছিলেন সাংবাদিক এডগার স্নো। গিয়েছিলেন চরম বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই, এবং বাইরের দুনিয়ায় প্রথম পৌঁছে দিয়েছিলেন চীনের কমিউনিস্টদের প্রকৃত চিত্র। জানা গেল, তাঁরা ‘লাল দস্যু’ নন, বিপ্লবী। পাওয়া গেল কমিউনিস্ট এলাকার জীবনযাপনের কথামালা। এবং ফুটে উঠল এক ব্রতিক্রমী নেতার জীবনালেখ্য : মাও সে-তুঙ। এই সার্বিক চিত্রটি নিয়েই ১৯৩৭ সালে ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হল এডগার স্নো-র রেড স্টার ওভার চায়না। চীন বিপ্লবের প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। সমর্থন অথবা বিরোধিতা যাই করা হোক- চীন বিপ্লবকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সেই প্রাসঙ্গিকতার কথা মনে রেখেই এই বইটির বাংলপা অনুবাদ প্রকাশ করলাম আমরা, যে-বইকে ‘ইতিহাসের দলিল’ বললে অত্যুক্তি হয় না। বইটি পাঠকদের কাজে লাগলে আমাদের শ্রম সার্থক বলে মনে করব।
Tk.
240
233
Tk.
270
203
Tk.
1200
500