দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম সঠিক ইসলামী আক্বীদাহ গ্রহণ অপরিহার্য। এ জন্য নবী ও তাঁর মক্কী জীবনের সম্পূর্ণ সময় মুশরিকদের বাতিল আকৃীদাহ বর্জন করে নির্ভেজাল তাওহীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং এ পথে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কারণ ইসলামে সঠিক আকৃীদাবিহীন আমলের কোন মূল্য নেই। আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের উপরই দুনিয়া ও পরকালীন জীবনে সৌভাগ্য অর্জন নির্ভর করে। সুতরাং আল্লাহ্ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জনের প্রতিই মানুষের প্রয়ােজন সর্বাধিক। বান্দা যতক্ষণ আল্লাহর প্রভুত্ব, উলুহীয়াত, তাঁর অতি সুন্দর নামসমূহ এবং তাঁর সুউচ্চ গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন না করবে, ততক্ষণ সে প্রকৃত শান্তি অর্জন করতে সক্ষম হবেনা। মানুষের মনে স্রষ্টার অস্তিত্ব, তাঁর পবিত্র সত্তা ও গুণাবলী, তাঁর সৃষ্টি ও কর্মসমূহ, সৃষ্টির সূচনা, উহার পরিসমাপ্তি, সৃষ্টিজগতের সকল সৃষ্টি, তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক, তাকদীর এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবন ও তাতে সংঘটিতব্য বিষয়াদি সম্পর্কে যেসব সন্দেহ ও প্রশ্ন জাগ্রত হয়, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইসলামী আক্বীদাহই কেবল সেসব প্রশ্ন ও সন্দেহের জবাব দিতে সক্ষম। পৃথিবীতে মুসলিমদের বিজয়, সাফল্য, প্রতিপত্তি এবং প্রতিষ্ঠা লাভের মূলে ছিল তাদের নির্ভেজাল ও পরিশুদ্ধ আক্বীদাহ বিশ্বাস। যতদিন মুসলিমদের আক্বীদাহ বিশ্বাস সঠিক ও সুদৃঢ় ছিল, ততদিন তারা সমগ্র পৃথিবীর শাসক ছিল। এ জন্যই কুরআন মানুষের আকীদাহ পরিশুদ্ধ করার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। নবী-রাসূলদের দাওয়াতের মূল বিষয়ই ছিল আক্বীদাহর সংশােধন। তারা সর্বপ্রথম যে বিষয়ের প্রতি আহবান জানাতেন, তা হলাে এককভাবে আল্লাহর এবাদত করা এবং অন্যসব বস্তুর এবাদত বর্জন করা। মক্কাতে একটানা তের বছর অবস্থান করে নবী ও আক্বীদাহ সংশােধনের কাজে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কুরআন ও সুন্নাহয় আল্লাহর সত্তা, তাঁর অতি সুন্দর নাম ও সুউচ্চ গুণাবলী, ফেরেশতা, আখেরাত ইত্যাদি গায়েবী বিষয়কে অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলামের গৌরবময় যুগে মুসলিমদের তা বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি। রাসূল তা থেকে তারা বিষয়গুলাে শুনে তা সহজভাবেই বুঝে নিয়েছেন এবং বিশ্বাস করেছেন। আর এ বিষয়গুলাে বােধশক্তি ও যুক্তির মাধ্যমে বুঝার কোন সুযােগ নেই। অহীর উপর নির্ভর করা ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই।
Tk.
50
35
Tk.
352
257
Tk.
250
175
Tk.
100
75
Tk.
1600
1520
Tk. 250
Tk.
400
300
Tk.
600
390
Tk.
175
128