সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহ তায়ালার, যিনি মানুষের হেদায়েতের জন্য ইলমে ওহী এবং ইলমে নববী দান করেছেন। দুরূদ ও সালাম রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, যাকে বিশ্ব-মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে আল্লাহ তায়ালা প্রেরণ করেছেন। আরব-বিশ্বের স্কুল-কলেজেও বিষয়ভিক্তিক আয়াত ও হাদীস মুখস্থ করানোর নিয়ম রয়েছে। ফলে সেখানকার প্রাইমারীর ছেলেমেয়েরাও যে কোনো বিষয়ের উপর বিশ-পঁচিশটি আয়াত ও হাদীস অনায়াসে মুখস্থ বলে দিতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে ‘হিফজুল কুরআন’ এর ব্যাপক চর্চা হলেও ‘হিফজুল হাদীস’ এর তেমন কোনো চর্চা নেই। ফলে একটি ছয়-সাত বছরের বালক পূর্ণ ৩০ পারা কুরআন মুখস্থ শোনাতে পারলেও একজন তাকমীল জামাতের ছাত্র মাত্র একশত হাদীসও মুখস্থ বলতে পারে না। এর বড় কারণ হলো, আমাদের মাদরাসাগুলোতে ‘হিফজুল হাদীস’ সিলেবাসভুক্ত না থাকা। বক্ষ্যমান এ গ্রন্থটি আমাদের শিক্ষা কারিকুলামে ‘হিফজুল হাদীস’ সিলেবাসভুক্ত করার উদ্দেশ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। এর অধিকাংশ হাদীস সিহাহ সিত্তা তথা বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ থেকে চয়ন করা হয়েছে এবং সবগুলো হাদীসই তাখরীজকৃত। আমি আশা করি প্রথম জামাআত থেকেই কিতাবটি সিলেবাসভুক্ত করে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক হাদীস মুখস্থ করালে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ফায়দা হবে এবং তাকমীল জামাআতে পৌছাতেই বিশাল হাদীসভাণ্ডার মুখস্থ হয়ে যাবে। বক্ষ্যমান গ্রন্থটি সংকলন করেছেন আরব বিশ্বের অত্যন্ত পরিচিত একজন হাদীস বিশারদ ‘শায়েখ মুহিউদ্দীন মুহাম্মাদ আওয়ামা’। ইলমে হাদীসের অঙ্গনে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি ও দখল রয়েছে। মূলত হাদীসের ব্যাপক প্রসার এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা ও নূরাণী আদর্শকে শিশু-কিশোর ও সর্বসাধারণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই তিনি এ গ্রন্থটি সংকলন করেছেন। কিতাবটি অনুবাদ করেছেন, বহু গ্রন্থের প্রণেতা ও সম্পাদক বন্ধুবর মাওলানা আলাউদ্দিন আজমী এবং প্রুফ দেখেছেন প্রবীণ লেখক মাওলানা সালাহ উদ্দিন জয়নাল । তারা উভয়ে অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় পাঠোপযোগী করে কিতাবটি সাজিয়েছেন
Tk.
200
150
Tk. 300
Tk.
125
94
Tk.
220
165
Tk.
900
657
Tk.
200
120
Tk.
329
276
Tk.
270
203
Tk.
850
697
Tk. 170
Tk.
400
300
Tk.
140
88