বিস্ময় ও রহস্যে ভরা সুফি সাধকরা সব সময় সাধারণ মানুষদের চুম্বকের মতো আকৃষ্ট করে এসেছেন। তাঁদের খানকাগুলো কেবল মুসলমান নয় সকল ধর্মের মানুষদের মিলন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। শত শত বছর পার হওয়ার পরও তাঁদের মাজারগুলো এখনো সকল ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র তীর্থ স্থান হিসাবে বিরাজ করছে। এটা কেবল আধ্যাত্মিকতা কিম্বা অলৌকিক ঘটনার জন্য নয়, এটা হয়েছে মূলত মানবসেবার অনন্য দৃষ্টান্তের জন্য। কারণ তঁাঁরা তাঁদের জীবনকে ওয়াক্ফ করে দিয়েছিলেন আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর নির্দেশিত পথে, যে পথের মূল লক্ষ্য ছিল সৃষ্টির সেবা করা। শুধু তাই নয়Ñ মানবসেবা, লোভবিমুখতা ও হিংসা বিদ্বেষহীন অতি সাধারণ জীবনযাপন তাদেরকে মহান সাধক হিসাবে এমন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল যা পরবর্তী সাধকদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। আমাদের আলোচ্য মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীও সে ধরনের কিম্বা আরো বৃহত্তর পরিসরে আল্লাহ ও রাসূল(সা.)-এর পথে জীবনকে ওয়াক্ফ করে দিয়েছিলেন। তিনি দেখেছিলেন, এসব সাধকরা কিভাবে পারিবারিক বন্ধন সম্পূর্ণ ছিন্ন করে কেবলমাত্র ইসলাম প্রচারের জন্য সেই সুদূর ইরান, ইরাক, ইয়েমেন ও মধ্য এশিয়া থেকে এসে এ উপমহাদেশে স্থায়ী হয়েছিলেন। মওলানা ভাসানীও সে পথ অনুসরণ করে পাবনায় নিজ গ্রাম ধানগড়া চিরকালের জন্য ত্যাগ করেছিলেন। আর কখনো তিনি নিজ গ্রামে ফিরে যাননি। তাঁর সুদীর্ঘ জীবন যেসব ঘটনা, রটনা, আলোচনা-সমালোচনায় মোড়ানো, তা ভেদ করে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে এক মহান সুফি সাধকের জীবনালেখ্য। প্রবল রাজনীতির ডামাডোল কখনোই তাঁর প্রকৃত সাধনার পথকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। এখানেই আমরা খুঁজে পাই আসল মওলানা ভাসানীকে। এলাহী নেওয়াজ খান
Tk.
190
156
Tk.
350
263
Tk.
120
96
Tk.
520
390
Tk.
150
105
Tk.
125
94
Tk.
440
330
Tk. 150
Tk.
750
563
Tk.
250
225