+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
ভাষা বিজ্ঞানের সূত্র সম্মত বাংলাদেশে বেদে সমাজ নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে, বিদ্বেষও আছে। তারা প্রান্তবাসী, তাদের দশ হাত দূরে রাখতে শুধু ভদ্ৰশ্রেণি নয়, পল্লিসমাজও পছন্দ করে। তাদের পরিযায়ী জীবনযাত্রা সুস্থির, গৃহকেন্দ্রিক জনগােষ্ঠীর নিশ্চয়তা প্রত্যাশার সঙ্গে বিরােধে যায়, সে জন্য তাদের নিয়ে একটা অস্বস্তিও জনমনে আছে। সাপের। খেলা দেখানাে অথবা লােকচিকিৎসা দেয়া এবং এ রকম কিছু গৌণ কাজের মধ্যেই মােটামুটি তাদের কর্মপরিধি সীমাবদ্ধ। অথচ তাদের বসবাস কৌম সমাজে, নারীদের অবস্থান সেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তাদের নৈতিক-নান্দনিক বােধ, সৃষ্টিশীলতার চর্চা এবং একটি ভাষা আছে, যা ঠার বা ঠেট বলে পরিচিত। বেদেদের জীবনের ভেতরে খােলামন নিয়ে। উঁকি দিলে একটি ছবি দেখা যাবে। যদিও খুব কম মানুষই সেই চেষ্টা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই কাজটি দরদ নিয়ে, নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন থেকে এই জনগােষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা মােচন ও তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করে আসছেন। বস্তুগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি হাবিবুর রহমান। বেদেদের ভাষা নিয়ে গবেষণা করে ঠার বেদে জনগােষ্ঠীর ভাষা নামে একটি বই লিখেছেন। ঠার ভাষার সঙ্গে আরাকানি মনতং নৃ-গােষ্ঠীর ভাষার অনেক মিল, তবে মিলটা বাংলা ভাষার, বিশেষ করে এর আদিরূপ প্রাকৃতের সঙ্গে বেশি। হাবিবুর রহমান ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রগুলাে মেনেই লিখেছেন বইটি, যার ফলে তাঁর গবেষণার একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও তৈরি হয়েছে। ঠার ভাষার বহুল প্রচার হােক, যাতে বেদেদের সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন আসে।
Tk.
190
167
Tk.
500
400
Tk.
90
81
Tk.
125
110
Tk.
120
106
Tk.
150
132
Tk.
250
188
Tk.
310
164
Tk.
300
264
Tk.
500
370
Tk.
250
188