সেই বিকেলটিতে তখনও আমরা জানতাম না যে এই বইটি লেখা হবে। জাপানের কিয়ােটা শহরের কেন্দ্রস্থলে জিয়ন স্ট্রিটের সরু গলির একটি চায়ের দোকানে আমরা বসে ছিলাম। বাইরে ঝােড়াে হাওয়ার সাথে বৃষ্টি। অন্যসব রহস্যময় ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার পাশাপাশি গলিটিতে গেইশা বাইজিদের বসবাসের সর্বশেষ স্মৃতিচিহ্নগুলাে বিদ্যমান। | আমরা বৃষ্টির কারণে যে চাশিতসু (Chashitsu – চায়ের দোকান)টিতে আশ্রয় নিয়েছিলাম তা ছিল জনশন্য। | জানালার পাশের নিচু টেবিলে বসে আমরা লক্ষ করলাম সরু রাস্তাটি দিয়ে গড়িয়ে বৃষ্টির জলের সাথে ভেসে আসছে সাদা চেরিফুলের অসংখ্য পাপড়ি। | প্রকতিতে তখন বসন্তের বিদায়ঘণ্টা ও গ্রীষ্মের আগমনি বার্তা। খুব শীঘই হয়তাে গাছে গাছে চেরিফুলের সেই সাদা পাপড়িগুলাের কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না, যা এতদিন জাপানিদের আবেগকে আরও উদবেলিত করে তুলেছিল। কিমােনাে পরা একজন প্রবীণ মহিলা আমাদের জিজ্ঞেস করলেন আমরা কী চাই। মেনুতে থাকা একটি বিশেষ ধরনের চা আমরা বেছে নিলাম –গ্যোকুরাে (Gyokuro), দক্ষিণ জাপানের উইরেশিনাে অঞ্চলের চা; যেখানে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চা উৎপাদিত হয়। | আমরা টি-পটে ধূমায়িত চা আর কাপের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেই সাথে জাপানের এই প্রাচীন রাজধানীশহরটি সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিলাম। আমরা অবাক হচ্ছিলাম শহরটিকে ঘিরে পাহাড়গুলােতে প্রায় দুই হাজার মঠ-মন্দিরের কথা ভেবে। কিন্তু এখানকার লােকসংখ্যা ফিলাডেলফিয়ার চেয়েও কম। | আমরা নীরবতার মাঝে পাথুরে রাস্তায় বৃষ্টিপতনের শব্দ শুনতে লাগলাম। যখন বৃদ্ধাটি চায়ের ট্রে নিয়ে এলেন তখন চায়ের মনােরম সুগন্ধ আমাদের সেই আবেশিত সংক্ষিপ্ত ভাবাবেগ থেকে জাগ্রত করে তুলল। প্রথম চুমুকটি দেবার আগে আমরা কাপের ভিতর চায়ের উজ্জ্বল সবুজ রঙের আভা দেখতে পেলাম। চায়ে তেতাে ও মিষ্টি উভয়রকমের স্বাদ।
Tk.
200
164
Tk.
250
187
Tk.
250
187
Tk.
300
225
Tk.
200
150
Tk.
730
547
Tk.
240
137
Tk.
180
148
Tk.
850
553
Tk.
250
205