এখানে একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য। অতীতে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জনগোষ্ঠী বা ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে তাদের অস্বীকৃতি,ঔদ্ধত্য এবং পাপাচারের কারণে নানা বিপর্যয় দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমন,কওমে নূহ,কওমে আদ. কওমে সামুদ,কওমে লুত,কওমে আইকা,নমরুদ,ফেরাউন,সামেরী,হামান,কারুন,আবরাহা,আবু জাহেল,আবু লাহাব ইত্যাদি। তাদের মূল অস্বীকৃতি একই হলেও পাপাচারের ধরণ ছিল ভিন্ন ভিন্ন। এসব দৃষ্টান্তময় শাস্তি পরবর্তী যুগের জন্য নিদর্শন হিসাবে রাখা হয়েছে। এই বইতে সেসব নিদর্শনের আলোচনা করা হয়েছে। ইতিহাসের বিকাশধারায় বনি ইসরাঈলের সময় থেকে শাস্তি-কৌশলের বিবর্তন বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। রহমাতুল্লিল আলামীন রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় আসার পর কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আর কোনো জনগোষ্ঠীর সম্পূর্ণ ধ্বংসের নির্দশন অনাবশ্যক। কেবল বিদ্যমান নিদর্শনসমূহ ক্রমান্বয়ে বিকশিত হতে থাকবে। শাস্তির লাঞ্ছনা এবং সতর্কীকরণ বার্তা ও ইংগিত এখন প্রায় সমান্তরাল। এ সময়ে সকল ধরণের পাপাচারের একটি সমষ্টিগত বা সমন্বিত রূপ প্রতিভাত হবে। পাশাপাশি শাস্তি ও সংশোধন পালাক্রমে অব্যাহত থাকবে,কিয়ামত পর্যন্ত। দাবানল,সুনামি,ভূকম্পন,প্লাবন,বজ্রমৃত্যু,উষ্ণতা,জলবায়ু পরিবর্তন,পানি সঙ্কট,মহামারি,অতিমারি,যুদ্ধ,জালিম শাসক,মনোবৈকল্য,প্রভৃতি একাধারে শাস্তি এবং সতর্কীকরণ প্রক্রিয়া হিসাবে জারী আছে,থাকবে,চূড়ান্ত ধ্বংসের দিন আসা পর্যন্ত। বইটিতে মানব সভ্যতার শুরু থেকে বিকৃতি,বিচ্যুতি,জুলুম এবং পাপাচার বিকাশের একটি ধারাপঞ্জি গ্রন্থনার প্রয়াস পেয়েছি। অপরাধের বহুমাত্রিক বিকাশ অতি সংক্ষেপে চিত্রায়ন করতে চেষ্টা করেছি। উল্লেখ্য,সকল বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা সম্ভব হয়নি। লালিত উদ্দেশ্য হলো,বস্তুবাদী প্রযুক্তিযুগের আধুনিক মানসের কাছে ইতিহাসের এই পরিক্রমা খানিকটা হলেও যেন চিন্তার খোরাক হয়। আল্লাহর নিদর্শন অনুধাবন করা সহজ হয়। জীবনদৃষ্টি যেন সঠিকপথের দিশা পেতে পারে।।
Tk.
600
450
Tk.
250
195
Tk.
350
263
Tk.
500
425
Tk.
120
82
Tk.
250
195
Tk.
130
117
Tk.
375
308
Tk.
170
153
Tk.
375
255