প্রাচীন ষোড়শ জনপদের কতক অংশ নিয়ে গঠিত ‘বঙ্গ’ নামক স্থানটির উপরই মূলত প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। নৃতাত্বিক তত্ত্বেও প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এ অঞ্চলে জনবসতির প্রমাণ পাওয়া যায়। বন-জঙ্গল, নদী-নালা আর খাল-বিল সমৃদ্ধ এই এলাকায় জনবসতি, বিস্তার এবং সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে উন্নত জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলতে যে সময় নিয়েছে, পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় তা বিশাল এবং ব্যাপক।খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-এর দিকে বঙ্গনামক ভূখণ্ডে সবেমাত্র রাজত্বের সূচনা হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। অথচ সেসময়ে মিশর ,মেসোপটেমিয়া, ক্রিট, গ্রীস বা পৃথিবীর অন্যান্য অনেক ভূখণ্ডে রীতিমত রাজ্যগঠন, শাসন ও উন্নত জীবনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। সেসবের ঢেও বিলম্বে হলেও ক্রমান্বয়ে এদেশে এসে পৌঁছায়। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজতন্ত্র, সামতন্ত্র,উপনিবেশ আর স্বৈরতান্ত্রিক একনায়ক শাসন ব্যবস্থায় এখানকার জনগন গোড়া থেকেই কীভাবে নিষ্পেষিত হয়ে আসছে, সেসব করুন কাহিনীর কছিু খণ্ড নিয়েই এই গ্রন্থের অবতরনিকা । সেসকল সামন্তরাজ বা রাজা বাদশাহ তাদের অধিকৃত রাজ্যসীমাকে মনে করত তাদের নিজস্ব সম্পদ। অধিবাসীরা ছিল সম্পদ আহরণ ও সংরক্ষণের সহায়ক। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ এবং মহারাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনভার গ্রহনের আগ পর্যন্ত এমনই বিড়ম্বিত জীবন ছিল জনগণের । এরপতেও ৯০ বছর ধরে ভুখা-নাঙ্গা, হতাশা আর নিষ্পেষণ এর মধ্য দিয়ে দিন কাটতে হয়েছে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার উদাত্ত আহ্ববানে ভুক্তভোগী জনগণ পিপিলিকার ন্যায় সারিবদ্ধ হয়ে নেতার হুকুম পালন করতে থাকে।
Tk.
400
340
Tk.
300
246
Tk.
900
450
Tk.
255
217
Tk.
300
189
Tk.
1200
1044