“হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ : শেষ সিপাহির রক্ত” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: পৃথিবীর ইতিহাসের স্মরণযােগ্য শাসকদের কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ আসসাকাফির নাম অনায়েসে সামনে চলে আসে। একসাথে ভালাে এবং মন্দ-দুই ময়দানেই তার মতাে প্রশ্নসিদ্ধ। ব্যক্তিত্ব দ্বিতীয় কাউকে হয়তাে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি ছিলেন উমাইয়া রাজবংশের বিখ্যাত শাসক। শুধু শাসকই নন, বলা যায় অন্যতম রক্ষাকর্তা। তার হাতেই উমাইয়াদের শাসন স্থিতি লাভ করে। হেজাজ ও ইরাকের ‘বিদ্রোহীদের তিনি পরাজিত করেন কঠোরহস্তে। পুরষ্কার হিসেবে খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান তাকে হেজাজ, ইয়েমেন ও ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করেন। উমাইয়াদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে খুব কঠোর ছিলেন হাজ্জাজ। দীর্ঘ শাসক-জীবনে প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ তার হাতে নিহত হয়। এদের মধ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবিদের কয়েকজনও ছিলেন। অতি কঠোরতা ও মহান সাহাবিদের প্রাণ হরণ হাজ্জাজকে কলংকিত করে রেখেছে ইতিহাসে। এতে তার ভালাে কাজগুলাে ঢাকা পড়ে গেছে। কিন্তু তার ফিরিস্তিও অনেক লম্বা। উমাইয়া খেলাফতের সূচনাকালের গল্প বলার পাশাপাশি লেবাননী লেখক জুরজি যায়দান এখানে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের চরিত্রের কিছু ঝলক দেখিয়েছেন পাঠককে। হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাস নয়। উপন্যাসে পাঠক তার উপস্থিতি টের পাবেন সামান্য মাত্র। কিন্তু পুরাে উপন্যাস নির্মাণ হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই। এ উপন্যাসটি মূলত লেখকের ঐতিহাসিক সিরিজ উপন্যাসগুলাের একটি। উমাইয়া খেলাফতের উত্থান এবং আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইরের সাথে উমাইয়াদের লড়াই এই বইয়ের মূল পটভূমি। গল্পের স্বার্থে লেখক আরও কিছু ঐতিহাসিক ও কল্পিত চরিত্রকে এখানে স্থান দিয়েছেন। সেই চরিত্ররাই উপন্যাসের মূল অনুঘটক।
Tk.
743
550
Tk.
300
210
Tk.
300
210
Tk.
300
231
Tk.
390
371
Tk.
854
641
Tk.
220
180
Tk.
340
255
Tk.
400
300