+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
তের শতকের সূচনাকাল থেকে আঠার শতক অবধি বিশাল এক সময়কাল বাংলার ইতিহাসে মধ্যযুগ বলে অভিহিত। এই সময়ে সমাজ ও অর্থব্যবস্থায় পূর্বযুগের চেয়ে এক নবযুগের সূচনা হয়েছিল। রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় গতিশীল সমাজ বিনির্মাণে সহায়ক হয়। শাসকগোষ্ঠী বহিরাগত বটে, তবে এদেশকেই তারা স্বদেশ বলে আপন করে নিতে কৃপণতা করেনি। সুলতানগণ ধর্মভিত্তিক স্থানিক সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে তৎপর হয়ে ওঠেন সমন্বয়বাদী চেতনাকে ধারণ করে। বাংলা হয়ে ওঠে শাহী বাঙলা, সুলতান হয়ে ওঠেন শাহ ই বাঙালা। এদের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানিক বাংলা সাহিত্যের যে সমৃদ্ধি ঘটে বাঙালি কবিকুলের দেশজ সাহিত্য চর্চায় সেটি স্বাধীন বাঙলা রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক হয়ে ওঠে। এই উদার পরিবেশেই সনাতন ধর্মীয় সমাজের অভ্যন্তরে এক বিস্ময়কর বিপ্লবী চেতনা নিয়ে আবির্ভাব ঘটে শ্রীচৈতন্যদেবের, উদ্ভব ঘটে নব বৈষ্ণববাদের। মধ্যযুগের সামাজিক ইতিহাস হিন্দু-মুসলমান উভয়ের ইতিহাস। মুসলমান আলেম-ওলেমা ও শাসক-অমাত্য সহজেই মেনে নিয়েছেন স্থানীয় সমাজ ও সাধনাকে। তাই হিন্দু-মুসলিম নিয়ে এখানে বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির অভ্যন্তরীণ রূপটি হিন্দু-মুসলিম ধারা নিয়েই বহমান। এই সব বিষয় নিয়ে আবর্তিত হয়েছে আলোচ্য গ্রন্থখানি। এই বোঝাপড়া থেকেই গ্রন্থটির শিরোনাম দিয়েছি মধ্যযুগের বাংলা : সমাজ ও সংস্কৃতি।
Tk.
150
113
Tk.
140
80
Tk.
208
152
Tk.
300
246