কয়েক বছর আগেও জানতাম বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৫টি। ২০১৯ সালে সরকার ৫০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাম গেজেটভুক্ত করেছেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তে আরো ৫টি ক্ষুদ্র জাতির সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ জাতিগোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগ এখনো প্রান্তিক পর্যায়ে অবস্থান করছে। তাই এ গ্রন্থে তাদের ‘প্রান্তিক নৃ-গোষ্ঠী’ অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে। খাদ্য, ভূমি, বাসস্থানসহ তাদের অতীতের সুখকর দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে অনেকবার প্রান্তিক নৃ-গোষ্ঠীগুলো বিদ্রোহ করেছে। সে বিদ্রোহ ছিল জমিদার, মহাজন ও শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে। জমিদার ও মহাজনদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই শাসকশ্রেণি তাদের পক্ষাবলম্বন করে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিতো। একপর্যায়ে সরাসরি শাসকদের বিরুদ্ধেই হাতিয়ার ধরতে বাধ্য হতো প্রান্তিক নৃ-গোষ্ঠীগুলো। এ গ্রন্থে শুধু কোম্পানি শাসনামল থেকে ব্রিটিশ শাসনামলের শেষাবধি বর্তমান বাংলাদেশে বসবাসরত প্রান্তিক নৃ-গোষ্ঠীগুলোর বিদ্রোহ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। সে বিদ্রোহগুলোর ধারাবাহিক বর্ণনা ও এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এ গ্রন্থের মূল বিষয়। পাশাপাশি প্রান্তিক নৃ-গোষ্ঠীগুলোর পরিচিতি ও নৃতাত্তি¡ক বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত আলোচনাও রয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নৃ-গোষ্ঠী আছে, যাদের কোনো বিদ্রোহের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর পরেও একই এলাকায় বসবাসের কারণে, তাদের পরিচিতিও তুলে ধরা হয়েছে।
Tk.
400
300
Tk.
200
176
Tk.
450
403
Tk.
200
179
Tk.
600
450
Tk.
110
80
Tk.
45
36
Tk.
36
25
Tk.
400
328