+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
আজকে সুন্দর কভারে মণ্ডিত কুরআনের যে মুসহাফ আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটা সময় এভাবে ছিল না। আয়াতগুলো সব একসাথে নাজিল হয়নি। হয়েছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে। ধীরে ধীরে। কুরআন নাজিলের এই প্রেক্ষাপটকে আরবীতে বলা হয় ‘আসবাবুল নুযূল’ বা ‘শানে নুযূল’। সাহাবাগণ কুরআনকে ‘লিভিং বুক’ হিসেবে পেয়েছেন, কারণ তাঁরা কুরআনকে বিভিন্ন ঘটনা প্রেক্ষিতে নাজিল হতে দেখেছেন। যখন যে প্রয়োজন ছিল, তখন সে অনুযায়ী রবের পক্ষ থেকে নির্দেশ পেয়েছেন। তাই আল্লাহর আয়াতকে সেইভাবে বুঝতে হবে যেভাবে সাহাবাগণ বুঝেছেন, পেয়েছেন, জেনেছেন। আর সেইজন্য প্রয়োজন কুরআনের আয়াতগুলোর নাজিলের প্রেক্ষাপট জানা। . শানে নুযূল জানা না থাকলে কুরআনের মর্ম উপলব্ধি করা এবং জ্ঞান আহরণ করা বেশ কঠিন। কাউকে মুফাসসীরিন হতে হলে তাকে নুন্যতম ১৫ ধরনের ইলম জানতে হয়। সবগুলো ইলম কুরআনের সাথে সংশ্লিষ্ট। শানে নুযূল তার মধ্যে অন্যতম একটি ইলম। কুরআনে দুই ধরনের আয়াত আছে। ১// কিছু আয়াত আছে যার সাথে ঘটনার বা প্রশ্নের কোন সম্পর্ক নেই। বরং আল্লাহ্ তায়ালা সরাসরি আদেশ বা নিষেধ কিংবা উপদেশ স্বরূপ নাজিল করেছেন। ২// কিছু আয়াত রয়েছে যা কোন ঘটনা বা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনা বা প্রশ্নকেই উক্ত আয়াতের শানে নুযূল বলা হয়। . শানে নুযূলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কারণ অনেক সময় শানে নুযূল জানা না থাকলে আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যায় এবং সঠিক অর্থ বুঝা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আরবী কিংবা উর্দুতে শানে নুযুলের প্রচুর কিতাবাদি থাকলেও বাংলা ভাষাভাষী তা একেবারেই নগণ্য। তাই আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি মুফতি জালালুদ্দিন এর ‘শানে নুযূল’ এই কিতাবের সাথে। ৫৭৪ পৃষ্ঠার এই বৃহৎ কিতাব থেকে যেন কোন সূক্ষ্ম আলোচনা সংকলক বাদ দিতে চাননি। লাওহে মাহফূজ থেকে ওহী অবতীর্ণ হওয়ার পদ্ধতি, ওহীর প্রকারভেদ, ওহী লেখক, সূরা একত্রীত করার ইতিহাস থেকে শুরু করে প্রত্যেক সূরার যে আয়াতগুলো যে প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে, ইত্যাদি সকল বর্ণনা এক বইতে সংকলন করেছেন। বাংলায় এরকম ২য় কিতাব আর দেখিনি। . পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৭৪
Tk.
140
105
Tk.
150
113
Tk.
280
204
Tk.
335
245
Tk.
50
34
Tk.
320
234
Tk. 60
Tk.
120
106
Tk.
270
202