মানববিজ্ঞানকে বর্তমান অবস্থায় উন্নীত করে তোলার ক্ষেত্রে অথবা প্রাধান্যময় বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণভাবে পশ্চাৎপদ করে রাখা থেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক অবস্থা বাস্তবায়নের বিষয়টি যেভাবে এগিয়ে গিয়েছে নীতিসঙ্গত অথবা নীতিবিগর্হিত বিষয়ে মানদণ্ড সম্বন্ধীয় বিরোধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পক্ষে সহায়ক অবস্থা আজ পর্যন্ত এগিয়ে যায়নি। দর্শনের ঊষালগ্ন থেকেই মূলত একই বিষয়সংক্রান্ত পরম উদ্দেশ্য (Summum Bonum) অথবা নৈতিকতার ভিত্তির প্রশ্নটি অনুধ্যানমূলক গবেষণার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা বলে চিহ্নিত হয়ে আছে। অধিকাংশ সহজাত ধীসম্পন্ন ব্যক্তি এ সমস্যা সমাধানে নিজেদের নিয়োগ করেন, এবং তাঁরা নানা গোষ্ঠী ও চিন্তাধারায় বিভক্ত হয়ে একে অপরের সাথে প্রচণ্ডভাবে তর্ক-বিতর্কে নেমে পড়েন। তবু কিন্তু সেই যখন যুবক সক্রেটিস (Socrates) বৃদ্ধ প্রোটাগোরাসের (Protagoras) বক্তব্য শুনতেন আর তথাকথিত সোফিস্টদের (the Sophists) জনপ্রিয় নৈতিকতার বিরুদ্ধে উপযোগবাদী মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করতেন (যদি প্লেটোর সংলাপটি বাস্তব আলোচনার ভিত্তিতে রচিত হয়ে থাকে), সে তখন থেকে আজ দুহাজার বছর উত্তীর্ণ হবার পরও দার্শনিকেরা একইভাবে নানা প্রকারের বিরোধী মতাবলম্বী পতাকাতলে সমবেত হয়ে আছেন। এ দীর্ঘকালের বিতর্কের পরও আজ পর্যন্ত এ বিষয়বস্তুটি আলোচনা করতে গিয়ে চিন্তাবিদরা অথবা সমগ্র মানবজাতি মতৈক্যের বিন্দুমাত্র নৈকট্যে পৌঁছতেও সক্ষম হয় নি।
Tk.
800
600
Tk.
250
205
Tk.
150
123
Tk. 15
Tk.
80
72
Tk.
600
390
Tk.
100
75
Tk.
150
113
Tk.
870
783
Tk.
450
279