চট্টগ্রামের ভাষা নিয়ে প্রায়শই কটু সমালোচনা শোনা যায়। প্রসঙ্গ উঠলেই অনেকে হতাশ হয়ে বলে থাকেন, ‘ভাই, যা একখান ভাষা, কিচ্ছু বোঝা যায় না।’ দু’চারজন আবার হাসির খোরাক জোগাতে চাটগাঁইয়াদের অনুকরণে বলার চেষ্টা করেন, ‘অবাজি! ক্যেন আছো? এক্কানা গম আছোনি?’ রসিকজনেরা আবার কটাক্ষ করতে ছাড়েন না, বাংলা ভাষার উৎপত্তিস্থল নদীয়া-শান্তিপুর, যৌবন কেটেছে তার কুষ্টিয়া-যশোহরে কিন্তু নোয়াখালী এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে আর চট্টগ্রামে গিয়ে পটল তুলেছে। যে যাই বলুক না কেন, চট্টগ্রামের ভাষা মূলত বাংলা ভাষারই একটি প্রান্তিকরূপ। বাংলা উইকিপিডিয়া মতে, এটি ইন্দো-আর্য-অহমিয়া সংস্করণের অন্তর্ভুক্ত একটি আঞ্চলিক ভাষা। চট্টগ্রামের ভাষার দুর্বোধ্যতার খোলস উন্মোচন করতে গিয়ে এ ভাষার জন্য একটি সহজপাঠ্য ব্যাকরণের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুধাবন করি। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে থাকি। আমার এ গবেষণার উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছে চট্টগ্রামের ভাষার জন্য একটি সহজপাঠ্য সংক্ষিপ্ত ব্যাকরণ প্রণয়ন; যা ইতোপূর্বে কেউ প্রকাশ করেছে কিনা আমার জানা নেই। চট্টগ্রামের ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই, যদিও কোনো কোনো আঞ্চলিক ভাষার বর্ণমালা খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলা বর্ণমালাই হচ্ছে এ আঞ্চলিক ভাষার শাব্দিক বুনিয়াদ। ব্যাকরণ প্রণয়ন খুব সহজ কাজ নয়। আমার উদ্যোগই শেষ কথা নয় তবে শুরু বটে। আশা করি, ভবিষ্যতে এ-কাজে অনেকে উদ্যোগী হবেন এবং একদিন চট্টগ্রামের ভাষার একটি সুখপাঠ্য সহজ পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ রচিত হবে। তবে প্রথম উদ্যোগী হিসাবে আমার কাজ ও সম্পৃক্ততা উদ্দীপন হিসেবে কাজ করবে।
Tk.
350
263
Tk.
50
40
Tk.
50
40
Tk.
400
288
Tk.
50
40
Tk.
50
40
Tk.
3800
2090
Tk.
470
352
Tk.
600
468
Tk. 300
Tk.
550
512
Tk.
190
142