মানুষ হিসেবে পার্থিব কাজ-কর্মে ও লেনদেনে যেমনি ভুল ভ্রান্তি হয়, তেমনি ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রেও ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে। কখনো নামাযের ওয়াজিব ও ফরয ছুটে যায়, সেগুলোর তারতীব নষ্ট হয়, একাধিকবার আদায় হয়ে যায়, সুন্নত ও মুস্তাহাব আদায়ে আগে-পরে হয়, রাকাআতের সংখ্যা গণনায় ভুল হয়, কিরাআতে ভুল হয়, তিলাওয়াত থেকে কোনো আয়াত বাদ পড়ে যায়। মোটকথা, এমনি অবস্থার অবতারণা নামায হতে পারে। কিন্তু অবস্থা এমন, যার ফলে নামায শুরুতেই ফাসিদ হয়ে যায়। কিন্তু মাসাইল না জানার কারণে অনেক সময় আমাদের ইমাম সাহেবগণ মনে করেন, এই অবস্থায়ও সাহু সিজদা দ্বারা নামাজ সহীহ হবে। এমনিভাবে এমন অনেক অবস্থার সম্মুখীন হয়, যাতে শরীয়তের দৃষ্টিতে সাহু সিজদা ওয়াজিব, কিন্তু তারা সাহু সিজদা করেন না। আবার অনেক সময় সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না, সেখানে সাহু সিজদা আদায় করে। অজ্ঞতা বা মূর্খতার এই অবস্থায় কিছু লোক মনে করে, নামাযে যেকোন ভুল হলেই সাহু সিজদার মাধ্যমে তাদের নামায ত্রুটিমুক্ত হয়ে যায়। আবার কিছু লোকের সাহু সিজদার এমন বাতিক থাকে যে, নিতান্ত সন্দেহবশত সাহু সিজদা আদায় করে। শরীয়তের পাবন্দ বলে স্বীকৃত এবং মাসআলা সম্পর্কে ধারণা রাখেন এমন অনেকের অবস্থাও এই যে, সাহু সিজদার কেবল দু-চারটি ক্ষেত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। এসব অবস্থা থেকে নামাযী যেনো পরিত্রান পায়, সে উদ্দেশ্য নিয়ে সাহু সিজদার বিস্তারিত মাসআলাগুলো এখানে একত্র করেছেন, প্রখ্যাত মুফতী হাবিবুর রহমান খয়রাবাদী। এতে মাসআলার রেফারেন্সও উল্লেখ করা হয়েছে, সুধি পাঠকের ইতমিনানের জন্য।
Tk.
340
204
Tk.
300
204
Tk.
60
45
Tk.
60
42
Tk.
160
109
Tk.
110
77
Tk.
200
150
Tk.
400
300
Tk.
350
263
Tk.
280
210
Tk.
240
144
Tk. 550