মানবজাতির পথচলা শুরু হয়েছিল নারী—পুরুষের যৌথ পদযাত্রায়। কিন্ত সময়ের পরিক্রমায় পুরুষ অধিষ্ঠিত হয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে আর নারী পড়েছে ক্রমশ পিছিয়ে। পুরুষের কণ্ঠস্বর যতই ধাবিত হয়েছে উঁচুগ্রামে ততই ক্ষীণ হতে শুরু করেছে নারীর স্বর। এক পর্যায়ে উভয়ের অধিকার ও দায়িত্বের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে বৈষম্য, নষ্ট হয়েছে ভারসাম্য। বৈষম্য সামগ্রিকভাবে মানবজাতির অগ্রগতির শত্রু, ভারসাম্য বিনষ্ট হলেও জীবন থেকে মুছে যায় শান্তির সুবর্ণরেখা। মানবজাতি যখন বৈষম্যের কোলাহলে পীড়িত ও ভারসাম্যহীনতার অপঘাতে বিচলিত; সেই দুযোর্গময় মুহূর্তে আবির্ভাব ঘটে কোরআনের। কোরআনের কণ্ঠে বাঙ্ময় হয়ে ওঠে বিশ্বমানবতার অব্যক্ত আকুতি। পৃথিবীর সকল মানুষকে সমতার পাটাতনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে কোরআন ঘোষণা করে নারী ও পুরুষ একবৃন্তে ফোটা দুটি ফুল। তারা একে অন্যের পরিপূরক ও সম্পূরক। ‘নারীরা তোমাদের পোশাক, তোমরা নারীদের।’ এ হলো কোরআনের ঘোষণা। তারা একে অন্যের সৌন্দর্য, একে অন্যের নিরাপত্তার আবরণ, একে অন্যের শান্তিদাতা ও দায়িনী। কোরআনে নারী : ইতিহাস, দর্শন ও বাস্তবতা বইতে নারীকে পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে বিজ্ঞান, দর্শন, মনস্তত্ত্ব, সামাজিক ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, তাতে জীর্ণ খোলসের মতো খসে পড়েছে পুরনো সংস্কার এবং স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে নারীর স্বতন্ত্র রূপ ও বৈশিষ্ট্য যা পাঠক মনকে করবে নতুন ভাবনায় ঋদ্ধ, সমৃদ্ধ, উদার ও সংস্কারমুক্ত।
Tk.
50
43
Tk.
160
96
Tk.
250
213
Tk.
350
263
Tk.
36
22
Tk.
160
96
Tk.
200
140
Tk.
700
413
Tk.
400
240