+880 1521-203767
(Whatsapp,
Imo,
Viber)
তত্ত্বতালাশ তৃতীয় সংখ্যার প্রকাশ-মুহূর্তে আমাদের লেখক-পাঠক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমাদের লেখকরা বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। এ যুগে, শুনতে পাই, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম বিপুল লেখকের লেখার হাউস ভালোভাবেই মেটাচ্ছে। লেখকদের অন্য একটা অংশ ইংরেজিতে লিখতেই নাকি স্বস্তিবোধ করেন। এমতাবস্থায় যে ধরনের লেখালেখি ছাপবার নিয়তে আমরা এ পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি, তার ভাগে সামাজিক-সামষ্টিক মনোযোগে বেজায় টান পড়ছে। এ দায় এবং দায়িত্ব অবশ্য আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে। অন্য সবকিছুর মতো লেখারও অর্থনীতি, সমাজনীতি ও মনস্তত্ত্ব আছে। কাজেই যাঁরা সামাজিক মাধ্যমে লিখে তৃপ্ত হচ্ছেন, আর যাঁরা ইংরেজি ছেড়ে বাংলা লেখাকে যথেষ্ট কাজের তৎপরতা মনে করছেন না–তাঁদের দু-দলই নিশ্চয় ওসব সূত্র মান্য করেই ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু যেকোনো সূত্রের বিকল্প থাকে; এবং নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন সূত্রও সামনে আসে। বাংলাভাষীদের কলোনিয়াল যুগে বাংলায় লেখালেখির জরুরত খুব তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছিল। সৃষ্টিশীল লেখকদের পাশাপাশি বিপুল চিন্তাশীল-মননশীল লেখকও সেযুগে আমরা পেয়েছি। তাঁদের লেখালেখির একটা সাধারণ সূত্র লিবারেল হিউম্যানিস্ট দৃষ্টিভঙ্গিজাত–জ্ঞানে যার সামর্থ্য ও মতি আছে, সে অন্যদের জন্য লিখবে। নিশ্চয়ই নানান ব্যতিক্রম পাওয়া যাবে; কিন্তু সাধারণভাবে আধুনিক জমানায় বাংলা ভাষার চিন্তা ও মননচর্চার সামগ্রিক আয়োজনকে দুটি সাধারণ সূত্রে বিন্যস্ত করা চলে: এক. চর্চাটা প্রধানত প্রাতিষ্ঠানিক নয়, বরং ব্যক্তিগত। ভারতীয় বাংলায় এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা পত্র-পত্রিকার মতো প্রতিষ্ঠান শিথিলভাবে হলেও কাজ করেছিল; বাংলাদেশের বেলায় তাও বলা যাবে না। দুই. চর্চার ধরনটা মুখ্যত অনুবাদমূলক। ‘ভালো’ বা ‘উত্তম’ বলে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ধারণাগুলো বাংলায় উপস্থাপন করাই ছিল মূল লক্ষ্য। আমরা নিশ্চয় ভুলে যাব না, পশ্চিমায়ন ও আধুনিকায়নের একটা প্রক্রিয়া দুশ বছর ধরেই চলমান আছে, এবং তার সাথে বাংলায় লেখার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে। কিন্তু ব্যাপকতা ও গভীরতা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াটি বোধহয় প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, জ্ঞান-উৎপাদন, গবেষণা, জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কের প্রত্যক্ষতা ইত্যাদির দিক থেকে বাংলায় লেখালেখি খুব গভীর কোনো সিলসিলা তৈরি করতে পারে নাই। সে কারণেই কি নিউ-লিবারেল জমানার ধাক্কা আসতে-না-আসতেই বা জাতীয়তাবাদী খায়েশ দুর্বল হয়ে উঠতেই বাংলায় চিন্তামূলক লেখালেখি এতটা নগণ্য হয়ে উঠল? বাংলাভাষী অঞ্চলে গত দুশ বছর ধরে জ্ঞানচর্চা ভালোই হয়েছে। এবং এক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ভাগও খুব সামান্য নয়। বাংলাভাষীরা জ্ঞানচর্চায় এখনো অবদান রাখছেন। কিন্তু তার ভাগ বাংলা ভাষা আগের চেয়ে অনেক কম পাচ্ছে। গুণগত ফারাক থাকলেও এদিক থেকে ভারতীয় বাংলা এবং বাংলাদেশ অঞ্চলের অবস্থা মোটামুটি একই। প্রাত্যহিক ও সামষ্টিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত হয়ে কাজের জিনিস হয়ে ওঠে নাই বলেই সম্ভবত এ রূপান্তর এত দ্রুত ঘটতে পেরেছে। ইংরেজি ভাষার একাডেমির নিজস্ব উৎপাদন-বিপণন-ভোগের ব্যাকরণ আছে। হয়ত একটা নয়–অনেকগুলো। এমনকি বাংলাদেশ বা ভারতীয় বাংলার স্থানীয় বিদ্যাচর্চার একাংশও সেই ব্যাকরণের বলয়েই পড়ে।
Tk.
200
150
Tk.
260
236
Tk.
700
525
Tk.
160
120
Tk.
250
188
Tk.
900
675
Tk.
180
133
Tk.
200
150